সিনেমা
নয়
ইচ্ছে থাকলেও উঠে আসতে পারছি না
মানে সবটাই ভালো নয়
কেউ কেউ চরিত্রে মিশে যায়
আর গল্পের কিছু অংশ যেন বেশ চেনা
নিজের ভেতর উঁকি মারে
তারপর একঘেয়ে একটানা অসুখ আর রক্তপাত
একটা গ্রামে ভূত চতুর্দশী হয়তো দীর্ঘদিন
বর্তমান সময় অনেক দূরের সড়ক আর রেললাইনে
বয়ে যাচ্ছে বেশ বেপরোয়া
ভবিষ্যত যে কতটা সুবিধার বলা যাচ্ছে না
অনেক গাছ কখন যে মৃতের জগতে
আলাপচারিতায় উঠে আসে
কিছু কানাকানি শহরও ছুঁতে পারে না
একটা নয়ানজুলি আর তার পাশে ঝোপ
আর ঠান্ডা নারীর অনাবৃত স্তন আর যোনি
নখ আর দাঁতের অবিন্যস্ত কারুকাজে
সুন্দরের শায়েরী বলে আর খুলে ফেলে
জলের অন্তর্বাস
নগ্ন চোখ সওয়া হলে ধীরে ধীরে
চোখের পর্দা নেমে আসে
মিউজিয়াম
একটা বাগান না থাকলেও
অনেক অনেক পুতুল নানান ভঙ্গিমায়
গান আর নাচে সবুজ ফোটায়
আর আমাদের নীড়ে দিনরাত কিচির মিচির
পাখি আর পরি ডানা আর না-ডানায়
এইসব গল্প নয় গল্পের বাইরেও নয়
একটা আকাশ দিনরাত গলির ভেতর
অন্ধকারের কবিতায়
ন্যাংটো চন্দ্রিমা পোয়াতি ল্যাম্পের
কথা লিখে হস্তমৈথুনের পর
বীর্যপাতে ভিজিয়ে দেয় মাটি
প্রকাশ্য রাস্তায় সেইসব অপ্রকাশিত
তবু অজানা নয়
পিরামিডের মমি মানুষের ভালোবাসা
মরুভূমি পেরিয়ে আমাদের শস্য শ্যামলায়
তেমন মাখামাখি নয় আর মাখনের কথা
আদিবাসী গ্রাম আর চা বাগানগুলিতে না পৌঁছানোয়
আপাতত শশ্মানের চিত্রাবলী
এই শীতেও ঠান্ডা ঘরে...
এক অন্য
গল্পের ভূমিকা
প্রথম দেখা অন্ধকার রাস্তায় সৌদামিনীর চোখে ঝড়ঝঞ্ঝার রাস্তায়
আর খেলা জমে ওঠা এক ভেজা জামার আর খোলা বোতামের।
রুক্ষতা থেকে নরমে পৌঁছে যাওয়ার ভেতর একটা রোমাঞ্চ জেগে
ওঠে। প্রতিমা শিল্পীর হাতে প্রথমে আসে খড় আর তারপর কাদার
তাল। তালের সঙ্গে তাল মিলে গেলে সৃষ্টি হয় অসম্ভব সুন্দর
সঙ্গীতের। রঙ যখন চড়তে থাকে দেহের প্রতিটি খাঁজে তখন
রক্তের সুরসাধনা চলে। কল্পনা কখন রক্তমাংসের হয়ে গেল বোঝা
যায় না। বাইরের বৃষ্টি ভিতরের বিছানায় আগুন ডেকে আনে।
পুড়তে পুড়তে শরীর ভিজতে থাকে। রোমের ওপর ঘামের স্রোত।
যা কিছু আবরণ আর আভরণ সব উড়ে যায় এক অনির্দিষ্ট ঠিকানায়।
একটা ঘর কখন আদরে উন্মাদ হয়ে পড়ে। মশারি, চাদর, রজনীগন্ধা
সব এলোমেলো কবিতার লাইন। শরীরে একটা নদী ছিল আমার
পুরুষ তাকে প্রথম জানতে পারে। ঠোঁটের একটা ভাষা দুজনার
সহজ পাঠের যাত্রা শুরু করে। আঁকড়ে ধরার ভেতর, মুখ গুঁজে
দেওয়ার ভেতর একটা শিশু আর অরণ্যপ্রেমী। পায়ের ঘর্ষণে
আগুনের আবিষ্কারের কথা আদম শুধু ইভের কানের লতিতে
দাঁত ছুঁয়ে বলেছিল। কোথাও কি ফিরোজা বেগমের গান বাজতে
ভোর। এরই ভেতর কতবার যে চন্দ্রগ্রহণ হয়ে গেছে মহাঘোরে!
অনেক দুরন্ত শব্দের পর শব্দহীন ঘুম এসেছে চাদরের নিচে
আমরা তো নবজাতক জাতিকা লজ্জার বালাই রেখে এসেছি
জাতকের গল্পে।
আর খেলা জমে ওঠা এক ভেজা জামার আর খোলা বোতামের।
রুক্ষতা থেকে নরমে পৌঁছে যাওয়ার ভেতর একটা রোমাঞ্চ জেগে
ওঠে। প্রতিমা শিল্পীর হাতে প্রথমে আসে খড় আর তারপর কাদার
তাল। তালের সঙ্গে তাল মিলে গেলে সৃষ্টি হয় অসম্ভব সুন্দর
সঙ্গীতের। রঙ যখন চড়তে থাকে দেহের প্রতিটি খাঁজে তখন
রক্তের সুরসাধনা চলে। কল্পনা কখন রক্তমাংসের হয়ে গেল বোঝা
যায় না। বাইরের বৃষ্টি ভিতরের বিছানায় আগুন ডেকে আনে।
পুড়তে পুড়তে শরীর ভিজতে থাকে। রোমের ওপর ঘামের স্রোত।
যা কিছু আবরণ আর আভরণ সব উড়ে যায় এক অনির্দিষ্ট ঠিকানায়।
একটা ঘর কখন আদরে উন্মাদ হয়ে পড়ে। মশারি, চাদর, রজনীগন্ধা
সব এলোমেলো কবিতার লাইন। শরীরে একটা নদী ছিল আমার
পুরুষ তাকে প্রথম জানতে পারে। ঠোঁটের একটা ভাষা দুজনার
সহজ পাঠের যাত্রা শুরু করে। আঁকড়ে ধরার ভেতর, মুখ গুঁজে
দেওয়ার ভেতর একটা শিশু আর অরণ্যপ্রেমী। পায়ের ঘর্ষণে
আগুনের আবিষ্কারের কথা আদম শুধু ইভের কানের লতিতে
দাঁত ছুঁয়ে বলেছিল। কোথাও কি ফিরোজা বেগমের গান বাজতে
ভোর। এরই ভেতর কতবার যে চন্দ্রগ্রহণ হয়ে গেছে মহাঘোরে!
অনেক দুরন্ত শব্দের পর শব্দহীন ঘুম এসেছে চাদরের নিচে
আমরা তো নবজাতক জাতিকা লজ্জার বালাই রেখে এসেছি
জাতকের গল্পে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন