শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫

খায়রুজ্জামান সাদেক

আবর্ত 


()
যা নিত্য হতে হতে গত হলো
ঘেরাটোপ খোঁচানোর সিলেবাস
নতুন কোনো সময় নতুন ছিল না
আমাদের তৈরির পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত


()
হুমড়ি শব্দ থেকে 
আরও কিছু অনুচ্চারিত শব্দ
রোলারকোস্টার হয়ে ঢুকছে মগজে
তার কিছু বিদ্রূপ 
অবহেলা রেখেছ হাতে


(
দেওয়ালে যুগলবন্দী ফ্রেম
কোর্স ওয়ার্ক পেন্ডুলামের
অনবরত আগুন পাখি হয়
পশম খোলা বুকের উপর 
ভাড়ার খাটে হাঁটে দীর্ঘশ্বাস


()
জামার ফিতে থেকে টিউনিকে
কিছু তার প্রতি ক্লিকে
গিয়ে জড়ায়
দিব্য আলো কাচ ঘসে স্বচ্ছ হয়
সাদা অন্তর্বাসে


()
হাতের প্যাঁচে খেলে মূর্তিমান ছায়া
শেষ রাতের লাল চাঁদ
বড় গোলগাল চমৎকার
জমাট আস্কারা পেয়ে
পালকের ওম চুষে
কোনো রাত থেকে – উঠোনে


()
ঘূর্ণি সোপানে 
মরাল গ্রীবায় ভরাট হয়েছে
স্থিরতা এক
তারও এক পলক
ভেঙে যায়
চোখে চোখ পড়লে


()
কোষ ও এই টোকেন
লোলুপ থাকে
ফতে মোল্লাগিরি
গোল হয়ে
রৈখিক জলে নামে
ধ্রুপদ রাজহাঁস


()
আঁচে আঁচে
তোমার নামছে এগুলো
যার ভিতরে 
কিছু প্রেমটেম
মুদ্রা, কারুবাসনার চাপ 
রয়েছে ফুটকি বিন্যাসে


()
এক প্রস্তুতি ভগ্নস্তূপে
উঠা নামা
বিশদ হলে চলন্ত সিঁড়ি 
গতির ফর্মুলায়
যথেচ্ছা ছাড়া ধরা পড়ে


(১০)
উপদ্রবহীন দিবাকর চন্দ্রবিন্দু মাথায় 
বোকাসোকা খোঁজেন নিন্দুকের কথা
ঘাম বিক্রি করে যে ফেরিওয়ালা
বিন্দু বিন্দু তার খবর 


(১১)
জমা সংবেদ রাখেনি
মসৃণতা জ্বরের ঘোর
জোনাকির নাভিমূলে ধুয়ে যায়
একতরফা কাঠে বাদামে মাঠে
বরষার অস্থিরতা


(১২)
যখন কিচ্ছু হবে না
এই ভালো লাগে
অনেক স্থিরতা সূচক মৃত্যু নিয়ে আসে
প্রিয় সান্নিধ্যে ঝিম 


(১৩)
স্পেসবারের উপর ঠাণ্ডা হয়
জন্মালে ঝরে যায়
ধারায় আবডালে
মৃত নলখাগড়ার মতো
মেলা নামান্তর মেলানকলি


(১৪)
সহস্র রজনী ও টুং টাং আওয়াজ
দুধের শিশুর মতো প্রতিক্রিয়া 
এতটা স্বচ্ছ হয়ে উঠে
পরবর্তী ক্রিয়া থেকে
অব্যয় অন্তর আদর বাড়তে থাকে 


(১৫)
তারের আলাপ সেতারের ফল
হারানো গোকুলে শীৎকার
দিগ্বিদিক থেকে হলেও
জড়িয়ে যায় কাছে
মাছের কাঁটার মতো
ঘড়ির কাঁটায়
শূন্য কোঠা থেকে বর্ণীল স্ট্রীট
জোনাকির রঙ হয়ে উঠে


(১৬)
নাভির আবর্তে হারায়
গাছ পড়ছে, বটফল
কালবৈশাখীর বিদ্রূপ
কাচের স্বচ্ছতা নিয়েও
ছুঁতে পারিনি মাটির কোঠর


(১৭)
আবর্ত জিইয়ে রেখে
ভেঙে ফেলা যায় 
তার কিছু ছুটছে 
যে গেল-
আর তার কিছু সংকেতে 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন