ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী
ছটি
ছাই
এখন
একা দাঁড়িয়ে আছি;
টেপের
ওপারে জীবনের অন্তিম পরিণতির
ফসিল
হয়ে যাওয়া সময়,
আজও
প্রশ্ন করছে।
লাল
নীল চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে
মনে
করছে সবচেয়ে বড় ইতিহাসের
পুনরাগমন।
জানা
নেই, এখন সত্যি জানা নেই,
ছটি
ছাইকে চিহ্নিত করার উপায়।
অস্থির হওয়া যেটুকু রোজ
রোজ রোজ যেটুকু হাওয়ায়
সূর্য থাকে না,
জানালার পাশ দিয়ে কিছুটা এলোমেলো; সেখানেই
অভ্যাস বশতই আছি আমি।
এক ঝাপটায় দড়িতে উঠে যায়
যতটা ভিজে
অস্থির হাওয়া যেটুকু রোজ
চার দেওয়ালে
এখানে পাতার ঝটপটানির মতোন।
পূর্ণ মানুষ
রেল লাইনের ধারে,
সেদিনই হঠাৎ, এই প্রথম, এই পথে
ঝুলতে থাকা পতাকা (বৌদ্ধ নয়)
উরে এসে নাকে লাগতেই
মা, হসপিটাল, আয়া, ড্রেন, শব,
ঋতুস্রাব, কুকুর...
সব ভেসে উঠলো, আর আমি
লাইনে পড়ব পড়ব করে সামলে নিয়ে
পোশাকের বিজ্ঞাপনে পূর্ণ মানুষ হবার
ব্রত নিয়ে ফার্স্ট ক্লাসে চড়ে বসলাম।
রূপক
সংখ্যাই
শুধু বেড়েছে
ধমনীতে
আজ টের পেলাম,
সেই
উল্কাগণ-
যাত্রা
করেছিল সেই হিসেব
না
মেলানো পথে;
অতঃপর চামচের হাত ধরে
চোর
পুলিশের খেলা।
সবই
তার গতানুগতিক,
আমারও;
স্নেহ
আর প্রতিবিম্বের কাছে
দাঁড়ানো ছাড়া আর ছিল
দৈনন্দিন
প্রেম, যা ওষুধের গন্ধে
মিলেমিশে
আটকে দিল উল্কার চলা।
টের
পেলাম, আবার নেমে এসেছে
অতি
পরিচিত আধার।
দশ
বছরের ব্যবধানে
রং
ফিকে হওয়া ছাড়া
আরেকটু
তফাত আছে
রূপকের সংখ্যা এখন অনেক বেশি।
শীতযাপন
এখন শীত একটু কমেছে
আঙ্গুলের ফাঁকে জমে থাকা
বরফের চাঁই গলে যাবার মতোন
তাই এই কবিতা লিখে পাঠালাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন