নাজনীন খলিল
পাখির পালক আঁকি
দিকচক্রবালের অন্য পারে আছে
এক শ্বেতপাথরের বাড়ি।
পদ্মপুকুর, শানবাঁধানো ঘাট।
প্রাচীন বটের ঝুরির মতো নেমে আসা
হাজার স্বপ্নের মালা ছুঁয়ে আছে
থই থই জলের শরীর।
স্বপ্নমহলের তালা খুলতে নেই
যেভাবে সাজানো আছে, সেভাবেই রাখতে হয়; এই ভেবে
ফিরিয়ে দিয়েছি চাবিওয়ালাকে।
কোনো কাঠগড়ায় দাঁড়ায় না অভিশংসকের মিথ্যে আঙ্গুল;
যুগে যুগে অহল্যাই কেবল পাথর হয়।
কেন্নো কেঁচোর মতো গোটানো জীবনযাপন;
এতোটা সহজ ছিল না
নিজেকে, হাঁসের পালকে সাজানো।
পাথরকালের আদিম জননী
কেন শেখালে না পাথরে পাথর ঘষা অগ্নিকৌশল?
দেওয়ালে একটি পালকের ছবি আঁকি রোজ;
এই ঘর একদিন পাখি হয়ে যাবে...
নিরুদ্দেশ
কোথাও আবছা কুয়াশার মতো একটুখানি অবসাদ লেগে আছে।
পায়ে পায়ে ব্যথা।
ঘোর বনে কারা যেন বাজিয়েছে মাদল সারারাত; যতিচিহ্নহীন।
মধুশিকারির পদচিহ্ন ধরে
যেতে যেতে কার যেন পথ ভুল হলো মাঝরাতে
ঘোর জঙ্গলে।
হাজার বছরের দীর্ঘশ্বাস জড়ো করে সমুদ্র গোঙায় রাতভর;
হাহাকারের স্পষ্ট দাগ বালুকাবেলায়।
কেউ ভুল করে ফেলে গেছে সময়ের ঘড়ি।
কেন যে ফিরে ফিরে আসে স্রোতে ভাসানো
কাগজের নৌকাগুলো
আমি তো তাদের পালে
লিখে দিয়েছি – ‘নিরুদ্দেশ’।
নিরুদ্দেশ
কোথাও আবছা কুয়াশার মতো একটুখানি অবসাদ লেগে আছে।
পায়ে পায়ে ব্যথা।
ঘোর বনে কারা যেন বাজিয়েছে মাদল সারারাত; যতিচিহ্নহীন।
মধুশিকারির পদচিহ্ন ধরে
যেতে যেতে কার যেন পথ ভুল হলো মাঝরাতে
ঘোর জঙ্গলে।
হাজার বছরের দীর্ঘশ্বাস জড়ো করে সমুদ্র গোঙায় রাতভর;
হাহাকারের স্পষ্ট দাগ বালুকাবেলায়।
কেউ ভুল করে ফেলে গেছে সময়ের ঘড়ি।
কেন যে ফিরে ফিরে আসে স্রোতে ভাসানো
কাগজের নৌকাগুলো
আমি তো তাদের পালে
লিখে দিয়েছি – ‘নিরুদ্দেশ’।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন