আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ
কবিতার আসরে
জুকিনি ফুলের গন্ধ হলো শত্রুদের বাগানে
তমা আর অক্ষরের ট্রমা, ব্রিজ বনহুর
মাথার দ্বীপদেশ
ট্রামে ট্রেনে কাক করলো শব্দ, নিঃশব্দে।
ঘাই শিকারি রক্ত ঝরালো লা দিপেশ
দূতপরীদের বনে।
তিনের তাল, চোখবোঁজা হিম, তলোয়ার
তীর এসে ঢুকলো বদ্ধ দরোজা- মাছ মাছ
বিছানার
ইলিশডিমে।
এই দেখানো বীরদের পাশে আমি আজ কী করি?
কী দিয়ে ঘোড়া চালাই এই শীতমরুদের ছিল্লায়?
স্থির বাহুপাশ, স্থির তালতমালের আবাবিল
শুধু জয় পরাজয়ের তন্দুর ফুলছে
বন্ধুর রাইফেলে।
ছু, চম্পা
এই কবিতায় কোনো রিদম থাকছে না
শুধু আলো নিভিয়ে দোল করছে
ভাষা-যুবতীর ট্রাম্পেট।
তার ছু, চম্পা ব্রিজ ফেরি
শ্বাস শ্বাস, জল পিচ্ছিল মাছ শিকারির
খিল। আর থরো থারো হেলেন-কম্পন
ব্রা
জেগে উঠছে পূর্বরাগ
টান টান বিবাহের আলপিন।
তোমার জ্যাকেট খোলো
চারপায়েদের জ্যু দেখো জুপিটারের বনে,
দেখো কাহা আর কহিতুর
হাতি দৌড়ায় সিপাহিদের
পাহাড়ে।
আর মহিষ পড়ে শীতে
তাদের দুধ তাদের ক্রিম খেয়ে বড় হয়
ভাষা যুবকের ডলফিন।
দেখো পাখি নাচে, দেখো আকাশে আকাশে
তারা, ঘোড়া, জোড়া ঝুল বাগান
ব্যাবিলন।
খেলা
লুকানো তরমুজে বিছানা
আমার লাল দরবেশ আমার ঠিকানা
আমি সারারাত খয়েরি বিচি খুঁজে মরি
ইয়া আল্লাহ
আমার ট্রেন ছুটে সিডনির লেগুনে
আমার নৌকা কাটে সাপে নেউলে
আমি দিক বিদিক দিশাহারা কানা আর কানা
নাই মেঘের মেশিন নাই সপ্তরথি
সর্বদলে ফোটে ধুতুরা আসামি আসামি
ছুরি খোলা তার কাঁটা সর্ব শরীরে
আমার একলা একা পীর শহীদে
ইয়া আল্লাহ
তুমি ভাষাকলম যত জুলফিকারে
দিলে লাগিয়ে ছুরি ভাব আর ভাবনা শিকারে
যত দূরে যাই বিষ বিষ হুল বল্লার নিশানা
আমাকে নাঙ্গা করে কোন্ শয়তানে
ইয়া আল্লাহ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন