বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

১৩) প্রশান্ত গুহমজুমদার



প্রশান্ত গুহমজুমদার


শূন্যের শোচনা

অর্বাচীনের এই প্রহারে আর কোনো শোক অনুচিত। সারমেয় অবধি সে সত্য  প্রসারিত। তথাপি বিরল সঙ্গীত ন্যায় শব্দগুলি বাজিতে থাকে। যেন এইবার ত্রিমাত্রিকতায় স্পষ্ট স্পর্শযোগ্য পূর্ণ গেলাস। সুপেয় এবং অঙ্কের মাধুরী সজ্জিত। কেবল ভাঙিবে, তেমন অপেক্ষা। শূন্যের শোচনা তাহার। দৃশ্যযোগ্যতা কি এইরূপ! প্রদর্শনে কেবল অপরূপ! বোতাম, একটি বোতাম দেখি আমি। একদিন, প্রগাঢ় আলিঙ্গন একদিন ওইখানে ছিল। সামান্য পথের কথা ভাবি। সামান্য সূর্যাস্ত।

বিষাদ

আর দেখি তোমার জানালা। দেখি অস্পষ্ট লেজ। কাঁপিতেছে। যেন অকৃপণ।  নয়নতারার বিষাদ। তুমি কি ঘুমে! কলহ তোমাকে একবার বিস্মিত করুক। অন্ন এবং চামচের। ঘড়ি এবং সুজনের।

শুদ্ধ আঙুর

অপূর্ণতার ঘন্টা। বাজিতে থাকে। ইহা লৌকিক। আলোর আর কোন ব্যালকনি নাই। এই ফুল। না থাকার গান এইরূপ। তাহার বোটাকে আমি বিচক্ষণ বলিব। এত  অপ্রকাশ্য সংবেদ। ইহা তবে শুদ্ধ আঙুর।

অন্বয়

বিদায় শব্দের নিচে একটি পেরেক। আর কি হাততালি! ওই মুখে আলো, আবার একটি মুখোশ। অচিন্তনীয়। লটারি আর কাহাকে বলে! এই যে অন্বয়, বিবর্ণের সহিত বিকালের, যে জল, তাহাতে বস্তু এবং আত্মা আছে। নীল, অলীক এবং সংঘর্ষময়। বাড়ি যেহেতু সামান্য প্রস্তুত, এই খেলা জারি থাকিবে তদবধি।

কীর্তন
তখন অন্ধকারের ভিতর অন্ধকার। শব্দে শব্দে বাতাস নির্জন। বিধেয় পূর্বে আসিয়া বসে। কীর্তন হয়। বলিয়াছিলাম, সঙ্গীত থাকিবে না। বলিয়াছিলাম, প্রবন্ধের অনুরূপ হইবে। থাকিবে আলো। সেন্ট্রিফুগাল। অপূর্ব হইবে, উন্মুখ। যেন আড়াল নাই, এমন। দাগগুলি, নখের। খুব প্রাচীন সে জলে গ্রাহ্যাতীতঝুম ঝুম শব্দে নাচ দেখিবে তবে আটচালা। সে গদ্যে প্রণত।

স্নান
শূন্যতার ভিতর লাঠি বসিলে খুব কিছু হইল না। অব্যয় পদের বড় টানাটানি। তাহার মুখে কেহ আলোক বলুক। বৃষ্টিরও বাধা নাই। শোকে কি জাগিবে? একখানি ফুল অবশিষ্ট ছিল। স্নান করিয়াছে। লঙ শটে তাহার শিষ্টতা এখন কেবল সাদায়। পক্ষী উড়িতেছে। ছায়া সুতরাং তাহাকে স্পর্ধা করুক। তাহার আর কে!







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন