বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

১২) রত্নদীপা দে ঘোষ



রত্নদীপা দে ঘোষ

উড়ছে চিঠি 

কথারা সবুজ হয়ে আছিল পাতার উঠোনে
এমন চুপিচুপি দর্শক
ইষ্টিকুটুম গাছটি আঁকা
ভ্রমরের পালক উড়তে ভুলে গেছে

সেই অচেনা বালকের ঘ্রাণ পাই
পুরো অঘ্রাণ মাস ডুবে থাকি
স্থলের তলায় লুকোনো পুকুরপাড়া
মাটিতে বাতাস ঝরছে
ঝরছে খুব মথের মশারি

রাত বাজছে
বাঁশির অনুপম কাহিনী করে  
আরতি বাজছে
ঝরা চালকের চোখ শুনছি
অশ্রুর দেবালয় ধানসিঁড়ি বোঝাই

এত প্রণয়
আজ এত প্রণয়িনী কেন  
টুনটুনি বৃষ্টির মশাল
জোনাকির হাউই
কল্যাণ ডাকছে...
শ্যামরাই
যদি ঈশ্বরের অনামিকায়
বিবাহ আংটি পড়াই...


শিকার ১

আজ বুঝি অমিত্রাক্ষর । রবিশস্যের হরফে ধান বুনে রাখা । আর মন ? খেজুরফুলের শরীর ? অস্থিবালকের ভেতরে চুম্বনের সংসার । এই যে ভেসে থাকা ... বসে থাকা ... অপেক্ষার পথ ... নদীসঙ্কুল এই যে প্রপাত ... ক্রমশ গর্ভের দিকে ছুটে যাচ্ছে ... গর্বিত তার চোখ , চেয়ে থাকা চশমার দুটি তারা ... আজ বুঝি উপন্যাস নেই কোনো ... বর্ষার চারাগুলি প্রচ্ছদ ভিজিয়ে কাঁপছে ... এত অক্ষর শিকার করে নিচ্ছি সবুজের   অজুহাতে ... ঝিল ঝিল সোনা রূপো আর অভ্রখনিজের ঝিল আঁকছে বাঁকছে হৃদসমগ্র ...
ঘুমন্ত অঙ্কের ভেতরে সোমত্ত প্রজাপতিরা আজ অকারণ মা ...শূন্যযন্ত্রের মৌনতায় ঝুটমুট গয়নাবাক্স ।  কোন কোন্দল নেই .. রুগ্ন মশালের কোমর জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ... এই যে তন্তুগ্রাফির অলীকে অলৌকিক চিঠিতন্ত্র , ভগ্নবাতাসের স্রোতে ... রাজপুত্রের গন্ধ নিয়ে ... নদী হয়ে ... বরজপাখির ... পালকে ... এই তো পলকে ভেজা রাজকন্যা ... এক গেলাস রাজ্যপাটের যুদ্ধআঙিনা ... পিপাসা জাগছে খুব ...তামাম ক্ষত্রিয় প্রজাপতির বিবাহ পাচ্ছে খুব ... আজ ঋষিমেয়ের যৌনতা ছুঁয়েছে পারদ ...
ফারেনহাইটের ভউগলিক সীমান্ত কাঁপছে ......কাঁদছে সেলসিয়াসের হিটচক্রান্ত ...
 আজ বুঝি খুব ধ্রুব ... তারামেয়ের বুক ছুঁয়ে পৃথিবী পর্যন্ত অপর্যাপ্ত হয়ে যাচ্ছে ...



শিকার ২

এত চমৎকার ভালো বাসা এবং বাসি ...
ফুলহাতা বাতাস । ঝিরিঝিরি আকন্দ আমরা বসে আছি পরসস্পরের চোখে । ভেবেছি দুজনেই । ব্রিজবৃক্ষটির পাজামা খুলে নিই । না রহিবে মিথুনঅহল্যা না বাজিবে যৌনসিন্দুক । গুপ্তধনদিবসের শুরুতেই নানাবালিকার মেঘ । বৃষ্টিকে গোলগলার ব্লাউজ গড়িয়ে দিই । আমাদের খেয়ালে বেখেয়ালে অইসব পর্দানশীন ময়ূর  পেখমের সেন্সেক্স টপকে । ম্যাপবিহীন ময়ালের সর্পট্রাপিজ বরাবর উড়তে শিখেছি কবে ...  ও মা ,কি সাঙ্ঘাতিক রোশচউকি বসে আছে ভাগ্যের ভিয়েতনাম বরাবর ।
যুদ্ধ ন্য় । শান্তি চাই । সূর্যের আস্পর্ধা দেখে চাঁদ হাসে । আমরাও হাসি । বিসর্জনের ইতিহাসশুদ্ধ দুর্গামায়ের কবচবৃত্তান্ত । এক অদ্ভুত রাত । হিম হিম মধ্যপদলোভী হিমনর্তকী । ডানাকাটা কুঁড়েঘর । সংসার । সন্তানবাৎসল্যে ভিজে ওঠে ঝাড়লণ্ঠনের দুয়ার । জানালা খুলে যায় । নিঃশ্বাসে ভিড় ঘোড়াদের সারাংশ ।একটি টোপোগ্রাফিক রাত আমাদের বলে , নেশা করো । নেশাদের কালঘাম ছুটিয়ে দাও । নেশাদের বাপ মায়ের নাম রাখো ৎ আর বিসর্গ । একটি চন্দ্রবিন্দু রাত পাহারা দিক পাহাড় ছুটিয়ে ...
সেই অবসরে তোমরা মৃত্তিকা হও । মাটির মতো । নদী হও । এক গেলাস জলজিরাফের মত । সহস্র বর্ণনায় দুমড়ে মুচড়ে পুস্পসখা ভায়োলিন । হেম করো । রানস্তীচ । ভূগোলসেতারে সেলাই হোক থ্রীকোয়ার্টার আরশিসেমিজ ...
মৃত্যুর পরে আগুনসকল হবে কিনা ঠিক নেই ... শুধু শুধু দেশলাইনগর সাজিয়ে কেনো

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন