বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

০৫) অনুপম মুখোপাধ্যায়


কবির স্বপ্ন

মনিটরে ভেসে উঠল কবিতাটা। একটা ব্লগজিনে বেরিয়েছে। ঋজু। টানটান। আবেগে মিতবাক। একটা শব্দও কিছু কম বা বেশি বলছে না। সব মিলিয়ে কবিতাটা নিজেকে পেরিয়ে গেছে আরো অনেক অন্য কবিতায়।
জ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় থমকে গেল পুরোটা একবার পড়েই। এই লেখা ওর বন্ধু অনিরুদ্ধ শাসমলের। অনিরুদ্ধ!!!
মেঝেটা উঠে আসছে। সিলিংটা নেমে আসছে। চারটে দেওয়াল এগোচ্ছে।
তাকে খেয়ে নেবে নাকি?
জ্জ্বলের মুখের রঙ টকটকে লাল হয়ে গেল। চোখ দুটো হয়ে গেল সবুজ।
কান ছুঁচোলো হয়ে উঠছে। নাকটা দৈর্ঘ্যে বাড়ছে।
থুতনিটা মুখ ছেড়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
কপালের রগদুটো টনটন করছে। একজোড়া সরু তীক্ষ্ণ কিছু বেরিয়ে আসছে যেন।
তবে কী... তবে কী...
হয়তো খুব খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারত, পৃথিবীর ইতিহাসে সেটার উল্লেখই থাকত না, কিন্তু সেই মুহূর্তেই ফোন বেজে উঠল।
‘বলছি।’
‘আমি হালগাড়ি পত্রিকা থেকে বলছি। আমাদের আগামী সংখ্যায় আপনার একটা কবিতা চাইছিলাম।’
‘পাবেন।’
‘যদি একটু তাড়াতাড়ি পেতাম দাদা...’
‘আজ রাতের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। মেল আইডি মেসেজ করে দিন।’
ফোন কেটে দিয়ে আবার কম্পিউটারে এসে বসল জ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।
কবিতা লিখতে শুরু করল।
ঘরটা আবার বড়ো হয়ে যাচ্ছে।
জ্জ্বল আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।
যে কবিতাটা জ্জ্বল লিখছে...

৫টি মন্তব্য: