তোফায়েল তফাজ্জল
পক্ষপাতদুষ্ট
এক দিকে একটু হেলে যাওয়ায় কি বিচারিক মোড়?
যে কারণে, গোছানো ঘরেও টাল খায় স্নিগ্ধ ধৈর্য,
মাথায় বসিয়ে দেয় ভাতের পাতিল?
এমন বন্ধুর অঞ্চলেও আমার এ মুখ থেকে
গুলি সোজা কথাই বেরিয়ে গেছে।
এতোটা উপরে উঠতে ব্যাজস্তুতি, না রেদা মারার প্রশ্ন ছিল
মাথা ঝুঁকে না হয়েছি বাঁক বাঁকা, না থাই প্রণাম,
না চরিত্র রিফু রাম ধোলাইয়ের জেরে –
উঠেছি, ভেতরে জ্বলতে থাকা কয়লার কলকাঠি নেড়ে।
না খেয়েছি রুটি ভাগ – না মেরেছি পথিকের রুটি,
না বসন্ত ছিনিয়েছি কোকিলের কান কথা শুনে
তবু কেন এ নামের প্রসঙ্গ এলেই
চুলকানি বা চোখ টাটানোর খরস্রোত ধারা বয়,
কেন দড়ি ছিঁড়ে ক্ষেত খায় কারসাজির রামছাগল?
এ নামের উচ্চারণে আছে কি কাঁটার অবস্থান?
বিড়ালের পায়ে পড়ো; পেশকৃত কথায় যদি কানে বেজে ওঠে
এক দিকে একটু হেলে যাওয়ায় কি বিচারিক মোড়?
যে কারণে, গোছানো ঘরেও টাল খায় স্নিগ্ধ ধৈর্য,
মাথায় বসিয়ে দেয় ভাতের পাতিল?
এমন বন্ধুর অঞ্চলেও আমার এ মুখ থেকে
গুলি সোজা কথাই বেরিয়ে গেছে।
এতোটা উপরে উঠতে ব্যাজস্তুতি, না রেদা মারার প্রশ্ন ছিল
মাথা ঝুঁকে না হয়েছি বাঁক বাঁকা, না থাই প্রণাম,
না চরিত্র রিফু রাম ধোলাইয়ের জেরে –
উঠেছি, ভেতরে জ্বলতে থাকা কয়লার কলকাঠি নেড়ে।
না খেয়েছি রুটি ভাগ – না মেরেছি পথিকের রুটি,
না বসন্ত ছিনিয়েছি কোকিলের কান কথা শুনে
তবু কেন এ নামের প্রসঙ্গ এলেই
চুলকানি বা চোখ টাটানোর খরস্রোত ধারা বয়,
কেন দড়ি ছিঁড়ে ক্ষেত খায় কারসাজির রামছাগল?
এ নামের উচ্চারণে আছে কি কাঁটার অবস্থান?
বিড়ালের পায়ে পড়ো; পেশকৃত কথায় যদি কানে বেজে ওঠে
বারোটার ঘন্টা
কানে তুলো ব্যবহারে উষ্ণ করো তুলোর বাজার
তবু আমার পদাঙ্কে লাগিও না ফেউ।
কানে তুলো ব্যবহারে উষ্ণ করো তুলোর বাজার
তবু আমার পদাঙ্কে লাগিও না ফেউ।
সাড়ে সংকটে
দু'জনে দু'দিকে টানে ধার তোলা ক্ষোভের করাত –
মধ্যিখানে, আকাশি চেরাই হয়ে ভূষি, খইলগুঁড়ো
আমার কাজের স্বাভাবিক স্বাধীনতা।
ফুলের ঘা খেয়ে যে রোগ শয্যায়, অর্থে
১২টা বাজাতে পটিয়সী
তা লাঘবে ২৪ ঘন্টাই খোলা রাখি সমব্যথী দ্বার,
তবু কেন
আকাশের চুন্নি চূড়া ছোঁয়ার খেলায়
চিড়ে চ্যাপ্টা নির্দোষীর প্রতিটি মুহূর্ত?
যা করি তা মাটি-বৈশিষ্ট্যের হাতেখড়ি হিসেবেই
আতশ কাচেও ফলাফল,
নেই শীলে শৈবাল স্খলন;
তবু কেন পাঁঠাবলী আমার এ নাম?
সাপ চলা পথে কেন স্বাচ্ছন্দ্যে এ কাল?
দু'জনে দু'দিকে টানে ধার তোলা ক্ষোভের করাত –
মধ্যিখানে, আকাশি চেরাই হয়ে ভূষি, খইলগুঁড়ো
আমার কাজের স্বাভাবিক স্বাধীনতা।
ফুলের ঘা খেয়ে যে রোগ শয্যায়, অর্থে
১২টা বাজাতে পটিয়সী
তা লাঘবে ২৪ ঘন্টাই খোলা রাখি সমব্যথী দ্বার,
তবু কেন
আকাশের চুন্নি চূড়া ছোঁয়ার খেলায়
চিড়ে চ্যাপ্টা নির্দোষীর প্রতিটি মুহূর্ত?
যা করি তা মাটি-বৈশিষ্ট্যের হাতেখড়ি হিসেবেই
আতশ কাচেও ফলাফল,
নেই শীলে শৈবাল স্খলন;
তবু কেন পাঁঠাবলী আমার এ নাম?
সাপ চলা পথে কেন স্বাচ্ছন্দ্যে এ কাল?
ত্রিমুখী সংকটের তে-মাথায়
ডোরাকাটা আবহওয়া দেখে হরিণের পাল হয়ে নিরাপত্তা
কিংবা পদ্মার আক্রোশে পরিকীর্ণ মাটির পুতুল বাসাবাড়ি;
রানওয়েচ্যুত বিমানের মতো
ভাঙা ভাঙা আস্থা-পরম্পরা।
ঘাড় ফেরালেই ঘের। ফাঁড়িপথ ধরে
পা রাখলে সাঁকোয়
সামনে মাথা তোলে ফণাধর
পেছনে শুনি হায়েনার ছোরাধার শব্দ
নিচে জলে ঘাড় তোলে কালের কুমির –
এমন ত্রিমুখী সংকটের তে-মাথায়
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গণতন্ত্র,
মৃত্যুর খবরে কান নকল বধির
ক্ষুদে এ মানচিত্রটাই জ্বলন্ত ইটের ভাটা – ভয়ে
আজ যেন নবাবের তরীতে পা রাখে অঘুমন্ত মধ্যরাত
কেউ বা ক্লাইভের উড়ন্ত পতাকা হাতে
পায়ের তলায় ভাবে
জলে ভাসমান কবির ‘সোনার তরী’
অথচ নদীই জেগে আছে খইপোড়া কড়াইয়ের ভূমিকায়।
ডোরাকাটা আবহওয়া দেখে হরিণের পাল হয়ে নিরাপত্তা
কিংবা পদ্মার আক্রোশে পরিকীর্ণ মাটির পুতুল বাসাবাড়ি;
রানওয়েচ্যুত বিমানের মতো
ভাঙা ভাঙা আস্থা-পরম্পরা।
ঘাড় ফেরালেই ঘের। ফাঁড়িপথ ধরে
পা রাখলে সাঁকোয়
সামনে মাথা তোলে ফণাধর
পেছনে শুনি হায়েনার ছোরাধার শব্দ
নিচে জলে ঘাড় তোলে কালের কুমির –
এমন ত্রিমুখী সংকটের তে-মাথায়
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গণতন্ত্র,
মৃত্যুর খবরে কান নকল বধির
ক্ষুদে এ মানচিত্রটাই জ্বলন্ত ইটের ভাটা – ভয়ে
আজ যেন নবাবের তরীতে পা রাখে অঘুমন্ত মধ্যরাত
কেউ বা ক্লাইভের উড়ন্ত পতাকা হাতে
পায়ের তলায় ভাবে
জলে ভাসমান কবির ‘সোনার তরী’
অথচ নদীই জেগে আছে খইপোড়া কড়াইয়ের ভূমিকায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন