আলতাফ হোসেন
দিশা
বগুড়া
যাব কিনা কামরুলরা জিগ্যেস করতে
বলে
দিলাম যাব
আমার তো
আসার বিশেষ সুবিধা দেখি না
আলোক দেখি
না
বেলাও তো
সকাল দুপুর মিলেমিশে কিম্ভূত
এবং হয়তো
বিকালও (ঠিক মনে পড়ছে না) এবং তা সৃষ্টি শুরু
থেকে
প্রায়-দুপুরে
রওনা হয়ে এই তো বিকেলে পৌঁছে গেলাম
(হাস্যরসের
ছৌকাবুকী শেষপর্যন্ত ধরে রাখলাম)
পৌঁছে
গেলাম জলেশ্বরীতলায়
জেলগেট
মোড়ে
পৌঁছতেই
ঝাঁপিয়ে
চলে এলো...
এলেন
তড়িঘড়ি শম্ভু মিত্র তাঁর আরও এক আন্ধারে পৌঁছালো
মানুষের
উপায় কী বলো... সমেত
আমার এক
মুখে খুশি, অন্য মুখ ব্যাজার
এবার কী
করতে আমি পারি
দিশা দিশা
হেতু বিষয়ে
ঘুমোতে যাবার আগে আরও একটা
আঁকিবুঁকি
এটা বেশ লাগে
কাটাকুটির আরও একটা ছবি
নামানোর চেয়েও কৌতুকের
এক্ষুনি সাইকোথেরাপি শব্দ
মাথায় এলেও
এটা এখানে রাখব না
আগুন লাগছে রোজ
মাথায়, আমি ছটফট করি এই
এতদূর জীবনে এসেও
(কত দূর? হাহহাহা)
বুঝেছি এ ঝক্কির
একটা কারণ খোঁজার বেশি না হলেও
একটুখানি ঝোঁক
তাড়াচ্ছে আমাকে
শোনো, কোনওই তোমাদের যাকে বলে হেতু
নেই
যে কোনও কিছুরই মাঝখানে
ব্যাগ খাতা ছাতা ল্যাপটপ রেখে
যে কোনও নিশানায় চোখ বন্ধ বা
খোলা যেতে পারো
লিখছি,
মুছে দিচ্ছি
লিখছি আর লিখছি আর
মুছে দিচ্ছি
...তোমাদের ডিল্যুশন,
বানানো গল্পেরা…
তবে
ছাপা হয়ে থাকা লেখাদের
আমিই না তুলে আনি যদি
সেসবও মুছে যাচ্ছে
হ্যালুসিনেশন তোমাদের (মানে
আমাদের)
হাস্যরসের গল্পেরা
ধরা তো দেবে না আহা বা্হ্
হা
সো
ডাজ দ্য কম্প্যানি অব আদার্স
নাটকে সবই বলে দেওয়া হয়েছে
মনে হয়
নিমপাতা কোথায় পাওয়া যায়
খোঁজ নিতে থাকো, দ্রুত কাটা
পড়ছে চারপাশের ঘুড়ি
নিঃসঙ্গতা কষ্টকর
সো ডাজ দ্য কম্প্যানি অব
আদার্স...
সংলাপ মোহময়
তুমি রাত বারোটায় বেরোবে কি
না
পাতা উল্টে যাও
লোকে খুব ভিড় ক’রে
আনন্দোচ্ছল সাগরের ধারে
কারো কেউ ধারেকাছে নেই
কিংবা হাত-ধরাধরি
স্বপ্ন দেখছে গভীর-গোপন
সম্পূর্ণ একাকী
সে যদি না থাকে কাছে কষ্টে
বুক তিরতির
সঙ্গিনী কে আছে
মোটা চামড়া-পশুটির নামে নাম
নাটকের পাতাগুলো ছেঁড়া
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন