সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৪

১৮) খায়রুজ্জামান সাদেক


খায়রুজ্জামান সাদেক
  
অন্বিষ্ট 
  
টানা টানা আঙুলেও থাকে রাজ্যের কথা  
অনেক ব্যথা ছড়ানো ছিটানো 
তার কিছু বশ্য হলে পরে
কীভাবে টং ঘরটা হাত বাড়ায় অন্য হাতগুলোর দিকে
আজ তুমি সেই কলম হাতে নিলে

কী দেখো তুমি
প্রলেপন আঙুলে আজ আঙুল আঙুল বাত-জ্বর কপটতা
অনেক হয়েছে যার
পৈতা পোশাক চশমা খোঁজা নাকে চুনট অন্তর্বিরোধ

আর এই নিয়ে তুমি অবুঝ বালক
নটিনী হরেক পদের তাস খেলতে থাকো - বোকাসোকা
কখনো তা ঘুরে যায় নিজের দিকে
যেন পিস্টনে ষষ্ঠী-মধুহরেক ছল-
টিনের কৌটায় রমণীয় কাম
আরও একটি কবিতা...

সেও যেন এক মিনতিসাগরতলে দাঁড়িয়ে কখনও
ত্রস্ত মেলাও - তবু ধাতব কণা
তদুপরি যেন এখনও তা
অনেক অনেক বাকি থাকে,
হাটবাজারে - আরও তার কিছু হরিদ্রা শ্লেষ্মা 

মুদ্রিত ঝোপঝাড় ছাপাখানা থেকে বেরিয়ে গেল
যেমন সম্ভোগ সামগ্রী এধার ওধার
খোলনলচে মাধুরী মাখা,
খুলতে গেলে মনোজ গরমিল ভেঙে যাওয়ার ভয়ও থাকে
যেমন কুচিকুচি হাসতে পারে ঘরোয়া ক্যাকটাস

এতোটুকুতে না হলেও অবাধ্যতায়
তবু অনন্ত সেই মূলে গিলতে গিয়ে পেইন-কিলার
নিরাময় চাইলে বিলক্ষণ দ্বৈত-সত্তার শুভ্র শ্রান্ত বিনুনিতে
কি চুপচাপ আর রিবন থেকে পড়লে ঝরে

এটা ঠিক যখন এমন করে
জমে উঠে  রিপুর কর্মশালা
আর থিওরির ভিতর থিওরিতে কলা চোষা হতেই থাকে
তখন আদা জলে গলা ডুবিয়ে
নিমগ্ন চিত্তে প্রবল বেগে তারাই আসে

পুনর্বার যা তৈরি হয়ে গিয়েছে
স্বরে উপপর্ব ছেদনের যৌগ কণায়
হালনাগাদ হওয়ার আগে পর্যন্ততাও বেশ
অহেতুক অতিকায় হাতীর মতো দেখালেও
আবার গুলিয়ে যেতে পারে অনর্গল

সেই এক আনুভূমিক নিতম্বের ছায়া 
ধাঁধার মতো ছাইপাঁশ মাথার ভিতর...
কি জানি তুমি একে কবিতা বলতে পারো?

  
ট্রিগার 
ভয়ের অরণ্যে ট্রিগার
চেনে কেউ
ভয়ের দেরাজে ভয়ের শিকল পাতা

সেই লোমহর্ষরক্তপাত
গল্প বলা নাই হলো
শ্যেনদৃষ্টি ট্রিগার তাক করা
আমাদের দু'বেলা প্রসন্ন রুটির সংগ্রাম
যন্ত্র থেকে মন্ত্রপাঠে দলচুবানো ভাঁওতাবাজি

তোমার নিজের ট্রিগার কোন দিকে ফেরাবে
বাদুড় ঝুলে আছেপেঁচা তো আছেই
নক্ষত্রবিলাসী তারকারাজির মাঝে পূতিগন্ধ ধূপ
আলোকবর্তিকার ঘেরাটোপ
একই শিরনীর মওকা জুলপিতে ঝুলে

রাস্তার বারকোড ভেঙ্গে ব্যারিকেড চলে
ট্রিগারে চেপে রাখো হাত দলে দলে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন