ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী
অদ্ভুত আঁধার
অদ্ভুত আঁধার অনেক
অনেক,
একে একে চিনে নিতে
বিছিন্ন।
বিছিন্ন হতে হতে...
আঁধার সুনির্দিষ্ট।
এতটাই সুনির্দিষ্ট;
যে সুনির্দিষ্ট আলো
জ্বেলে দেবে তুমি,
আলোর পাশে
সুনির্দিষ্ট হতে।
পলাশ
(১)
তোমার আমার মধ্যে
যতটুকু আলস্য,
বয়ঃসন্ধি গুঁজে নিয়ে
এখন চোখ ছুঁয়ে আগুন
ছুঁড়ে দিচ্ছে পলাশ।
(২)
আর সেই পলাশ হয়ে গেল
বাতিস্তম্ভ,
ট্রামলাইন
কলেজ পাড়া হয়ে
বিন্দু বিন্দু ঘামে
পুরো শহরটাই তবে
ধীরে ধীরে নেমেসিস।
(৩)
তবুও ঋতু বিজ্ঞাপন,
দেওয়াল সর্বস্ব হয়ে
ইংরেজি পড়া বাংলাকবি
ইতিউতি কবিতার পুড়ে যাওয়া
নিয়ে
চুপি চুপি
আসমুদ্রহিমাচল পলাশের স্বপ্ন জাগিয়ে তুলছে।
আধখানা চাঁদ
অফিসে,
তোমারি পাশে,
পূর্ব পরিকল্পিত
পূর্ণ চেয়ার
অর্ধবৃত্ত ঘোরায়।
এটাই যদি তোমার
অবশ্যম্ভাবী দূরত্বের ব্যাসরেখা,
তবে জেনো সেটা আমার
কাছে
আধখানা চাঁদ,
বাকিটুকু মেঘ সরে
যাওয়ায়।
বাবুর বাগান
বাবুর বাগানে তোমরা
চিরকাল
তোমরা যে চিরটা কাল
বাবুকে খুঁজেছ।
এলেবেলে এসে বলে গেল
-- সেই বাবু।
অবিশ্বাস আর বহুদূর
থেকে, আমি, তুমি
আমরা এসে জড়ো হয়ছি
দ্যাখ!
ক্লান্ত, ক্লিন্ন প্রাণ সব।
হয়তো বা বাবু লাঠি
নিয়ে তেড়ে আসবেন।
হয়তো বা সহৃদয় ব্যাক্তি
ফল দেবেন খেতে।
হয়তো বা ক্লান্ত হয়ে
প্রতীক্ষা তুলে নেবে
নিজের মতো উপাদান।
বিকেলে সকল প্রসারি
অনেক অনেক
হাওয়া চলে গেলে,
শুধু একা থমথমে থেকে
যাবে
একটি মাত্র ‘বাবুশূন্য’
বাগান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন