তানজিন তামান্না
দৃশ্যান্তর
মচমচে
রোদ তরতাজা দুপুরে লাফিয়ে লাফিয়ে চলে।
এ দৃশ্যে দেওয়ালের
ছায়াটা ঈষৎ বাঁকা। ছায়াটা
ঘুম ভালোবাসে।
সবুজপোকা
অবিকল ঘাসেরই মতো।
ওদের পাশ কাটিয়ে বেসামাল পা পিষে ফেলে ঘাসফুলের
বেদম বিকেল।
ঘাসফুল কার ছিল? এ দৃশ্যে কুয়াশারা বিজয়ী, সুযোগ মতো যাত্রা
করে শরতের ভোরে…
জোনাকচোখ
ল্যাম্পেপাস্টের
আলোয় পোকাদের উৎসব
লাল নীল ঘোড়ায় চড়ে আসে দূরন্ত রাত
ঝিঁঝিঁর
একঘেয়ে সুরে পালায় স্বপ্ন
প্রতি মুহূর্তে অনুভবের পাল্টে যাওয়া
অপেক্ষার
সাদা চাদর জড়িয়ে ঘুমোয় জোনাকি
জোনাকি
অন্য কোথাও যাও, শিউলিফুলে
শিশিরের
শব্দ, ঝুড়িতে কে নিয়ে যায় কমলা হাসি?
সন্ধ্যার
কাছাকাছি এক পশলা
বৃষ্টিতে
ফিরে
এসো জোনাকি ভেজা মাটির
পারফিউম মেখে
সেনালুভুল
ডটচিহ্নে মাথা গুঁজেছে স্মৃতিরা…
ধুলো ঝেড়ে দাঁড়ায় শীতে জমা দিনগুলোর পরদিন। গত রাতের
মন খারাপের
পাশে এক নদী ভিজেছে কুয়াশায়।
তার ঠোঁট থেকে লাল লাল ক্ষত তুলছিল ভৈরবীরাত…
আর ওল্টানো পাতায় হেমন্তের কবিতা থেকে ঝুপঝাপ টুপটাপ
ঝরে আত্মজন্মা সোনালুভুল…
মন
খয়েরী পর্দার ফাঁকে মাখনরঙা বিছানাঘর। দরজার
পাশে দুলছিল অন্ধকার।
দু’হাতের বৃন্ত থেকে স্বপ্ন গড়িযে যায় শিমুল তুলোর বালিশে। যে শিমুলের
প্রজাপতি হতে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজছিল বৃশ্চিক।
এখন হালকা শীত। বৃশ্চিক
ঘাসফড়িঙ হয়ে নাচে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন