প্রদীপ চক্রবর্তী
মেঘপিওনের
ব্যাগ...
(এক)
শূন্যরঙের
সুরক্ষা ঘোড়া এন্তার ছুটছে
রুদালির বিন্দুতে
ছুটছে
আদিক নীলের প্রুসিয়ান
শুধু
দ্যাখো
ভ্রু খোলে, ফের বাঁধে বিজুরী
সুগার
ফ্রি গুঁড়োর মতো ফুল
কবের থেকে
খুঁজছি বনকুড়ুনি
যদি না
পোড়ে
না ধুয়ে যায় তো
পাখি...
(দুই)
দুরহিদূর
বারীশ
অবঘন
হল্ট
নীল
টুংলির আলো
হওআ রঙ
দেখা হয়, কথা হয় না লোকটার
জলরি
আঁধিতে হারানো
দোভাষীর
মোর পাখা
কূজনে
কানাকানি
তুরন্ত
তিলের টমটম
কাঁদছে
থেকে থেকে
পরিযায়ী
খুনির কদরে...
(তিন)
বুড়ো
ডাকপিয়ন
পাতার
চিঠি হাতে
বাসস্টপে
স্খলিত হাত
মেঘের
মাথা থেকে
লাফ দিয়ে
বলে
কে নেবে?
দু’একটা
তিতলি নির্মিতি
পুবজানালার
ভ্রুভঙ্গি
সদ্য ফোটা
অন্তরমহল
গাছটাকে
দেখি
ধীরে ধীরে
জলে ভেজা হাতদুটো
কি নেবে?
(চার)
জঙ্গল
জুড়ে
করোটির
মাপে মাপে চাঁদ
ঈষৎ
রহস্যময়
বনবিবি
দেয়া
পানীয়ের
শূন্যপাত্র
সময়
স্তাবক
নিঃস্ব
কাঁপছে
জলে
ছড়াচ্ছে
জলছাপ তিল
(পাঁচ)
সুধা গাড়ি
হাওয়া
একটা লালটিপ
সে চিঠি
লেখে, রেয়াত করে না
নির্বিকার
ছাড়া
তার চিঠি
রাজায়
বিলি করে
অরণ্য
পাতায়
ধ্বনি
মুদ্রিকায়
একদিন ছিল
রঙিন
শিমুল ফুল
অনুদ্ধত
পুরনো ঘর
পুরনো
গন্ধ
হঠাৎ
বৃষ্টি শেষে
শরতের রোদ
মরা ডালে
তক্ষক
টিইইইই
টিকটিকটিকটিকটিক টিকক্ক...
সদ্য
নির্মোকে
ঘুম ভেঙে
চলে যায়
পোস্টম্যান...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন