স্বপ্নকথা
স্বপ্নে এক জোড়া ছাতা পাঠাল সি চো আ, কেয়ার অফ
সাকিলুর নামে। ফুল ফুল জাপানি অক্ষর ছাপা। মুম্বাইয়ে এখন বৃষ্টিকাল। টেলিফোনে
দাভাই যখন কথা বলে পাশ থেকে কোনো শব্দ
পায় না সে। ওখানে নাকি এখন থার্ড জেনারেশন। দাভাই হাসে, সি
চো আ অবাক হয়। খানিকটা স্বপ্ন, জীবনটা স্বপ্ন করে দেয়। আর বাদ
বাকিটায় সে থাকে। মুম্বাইয়ের ঠিকানা আলাদা, সময় আলাদা, মানুষ
আলাদা। আলাদাগুলোও বড্ড আলাদা -- শব্দ
বর্ণ গন্ধ সমস্ত দিক থেকে। দাভাই স্বপ্নের বৃষ্টিকালে নেই। অফিস ফিরতি মুম্বাইয়ের জল জমা
রাস্তায় জাপানি প্রযুক্তির ভারতীয় গাড়িতে বসে তাকিয়ে আছে সামনের দিকে। সি চো আ
তাড়া দিতেই কেয়ার অফ সরিয়ে রেখে দাভাই পাঠিয়ে দিল সাকিলুরকে। ওর জামার ঘোর মেঘলা
ছুঁয়ে নিরাপত্তা খুঁজছে স্বপ্ন। সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর অনুভূতি খুঁটতে খুঁটতে
দাভাই কিউসু বিমানবন্দর থেকে উড়ে গেল যেদিন, সাফিনার ছবি ভাসছিল ট্রোপোস্ফিয়ারের
নিরক্ষরেখায়। ওরা ভালোবেসেছিল। প্রেমপত্র ছিল, ডাকঘর ছিল না। জাপানি
বালিশের কভারে জমে যায় সি চো আ-র প্রতিরাতের স্বপ্নকথা। সাকিলুর
জানতে পারে না। জানতে পারে না সূর্যোদয়ের দেশ কিংবা ভারতের বাসি সূর্য! “আমাদের সময় কই সাকিলুর! তুমি জাপানি ভালোবাসা
বোঝো? কিংবা ভাষা? আচ্ছা... তুমি আমার কিমোনোর রঙে স্বপ্নের ভারত বুনে দেবে?” স্বপ্নে এখন অস্তমিত গোধূলি। আবার ফিরে আসছে ওরা
মনের গোটানো পর্চায়। সাকিলুরের ভুল করে ফেলে যাওয়া কোনো চিহ্ন নেই সি চো আর স্বপ্নের আস্তাবলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন