নীল পুকুর
হয়তো আমাকে ছুঁড়ে
ফেলা যায়
নিংড়ে নেওয়া যায় পরাগরেণু
কারণ সর্বনাশী মরশুমে–
একান্ত ঘাসফড়িঙের
বন্ধু আমি
দেওয়ালে দেওয়াল ঘষলে বিচলিত
অগ্নুৎপাত
যদি ঘটে যায়
যজ্ঞাগ্নি?
কিন্তু আমি তো মন
দিয়েছি জাতীয় সঙ্গীতে
স্বর্গদ্বার খুলে
গেলেও
দৃষ্টি দেব বন্ধ্যা
ফসলে
ক্ষতটাকে বাঁচিয়ে
রাখব
অপেক্ষার নীল পুকুরে।
রহস্য যাপন
পৃথিবীর আদিমতম
অথবা প্রাচীনতম জীবন
কাটাই এখন।
কিছুটা লতা ঘেরা
উপবন
একটু নোনা মাটি
অথবা ঝিনুক বন্দী
অসহায় প্রসাধন...
এইসব কিছু মৌলিক
উপাচার;
ভিড় ঠেলে ঠেলে
পেয়ে যাই নপুংসক
জীবন
কখনো ভোগের মাত্রা
বাড়িয়ে–
রূপকথার কল্পকথায়।
যে বুকে বন্দী অজস্র
বেশ্যালয়
হয়তো আমারও সেখানে
রহস্য যাপন।
সহজ নাম
বহুদিনে ঘুচে গেছে
নিঃশব্দ অন্বেষণ;
কাফন পরা নতুন বৌ
মৎস্যকন্যা হয়ে জলে সাঁতার দেয়
অভিশাপ হয়ে জন্মায়
সবসময়
আগুনের বাসনায়
যেখানে উষ্ণ জীবন যাপন
তবু অগোছালো ঝাপস
দৃষ্টিপথ,
তবু বুক হাঁটা
অভ্যেসের গন্ধে...
জলরঙে এঁকে যায়
গার্হস্থ নদী
তাল-সুর-লিরিক পালটে
পরে ফেলে আটপৌরে শাড়ি
খেলা -- এখন একটি সহজ নাম।
মাটি
হয়তো নেই আমি বহু বছরের দিনলিপিতে
বুকের পাঁজরে বুনো
দুপুরের গন্ধ মেখে-
স্নিগ্ধ হয় একক জীবন।
ব্রহ্মচারী আক্ষেপে
মধ্যরাতের খেয়াল
নৌকা ভাসায় স্বপ্নের
নিঃশ্বাসে
তাই সান্ধ্য অক্ষরে
উদাসীন মুখের পটবদল
মৃত আমি বেড়ে উঠছি
মাধবীলতার অস্তিত্বে
ঝুরো রোদে রেখে দেব
কল্পতরুর ছায়া
অন্ধপলক গোনা থাক
আঁচলের গিঁটে
সমুদ্রের জল খুঁড়ে
যাই...
মাটি আনি -- মাটি হবো বলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন