মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়
অতর্কিতের
ধূলো
তোমার জল
মগ্ন হয়ে আছে বন্ধনে
হাত আজ
পরবাসী তোমার হাওয়ায়
সমুদ্রের
শক্তি ভাঙ্গার ঢেউ-
সঞ্চয়ের
শক্তি;
শব্দহীন
সাহারা দারুণ ক্ষয়িত
একথা আলোয়
জেনেছি পারিজাত
ক্রমশ
তুমি ঝড় হয়ে অতর্কিতের ধূলো
বৃষ্টি
তখন রঙিন বালির উপর
আমি শিখি
ধূলো ও বালির
মিশ্রণ ধর্ম জানে না।
শূন্য...
উল্টানো পাতা, সময় শূন্য
স্বপ্নতাড়িত
ঝুলবারান্দায় চোখ
যেখানে
যতি, ছেদবিন্দু-
শূন্য
সমীকরণের
বালুঝড়
শূন্য গভীরে আরো শূন্য
প্রেমের
রঙ এখন গোলাপী
উপহার প্রতিটি প্রেমে - মৃত্যু
শূন্য...!
উপহার প্রতিটি প্রেমে - মৃত্যু
শূন্য...!
নিভৃতে আমি...
আঙ্গুলে
আঙ্গুলে সজীব
ঈশ্বর
মাধুকরী
পার করে দুর্ভ্যেদ্য পথ
আত্মনিষ্পেষিত
সন্ধ্যা
দিব্যালোকের
মৌনতা'
ছিটকে পড়বে
কখনো আলো কখনো অন্ধকার
নিভৃতে, চিরধ্যানস্থ,
আমি...
অন্ধ শহর
মানুষ
হাঁটছে রুজির হাঁটা পথ
শহর অন্ধ
হলে
স্নানের
আলোয় চাঁদের নিয়ন
অণুতে সাজানো
পেয়ালা
ফুসফুসের
শিরায় গলা সূর্য
এখন চায়ের
চুমুকে নেশাতুর
আদিমতা
প্রহর ভাঙ্গা কামিজ
তবু হা
হুতাশ
হা...!
পাখির
পালক ক্লান্তি জুড়ায়
ঘুম
চিরঘুমে।
দংশন
মাটিতে
বিড়ালের প্রথম আঁচড়
খসে পড়ে
আমার চুল একটা
একটা
বিড়ালের
দ্বিতীয় আঁচড়
ঘাড়ের
শিরায় দংশন চিহ্ন
তৃতীয়
আঁচড়
চোখ ঠিকরে
বের করছে মণি
চতুর্থ
রক্ত নদী
বইছে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন