আয় ক্ষ্যাপা দোল দে...
গুরু জলে লঘু
চাঁদ -- সাবমেরিনের বন্ধুরা মদ ও গাঁজার সঙ্গে লোহিতকণিকায় খেলছে, মেয়েটার নাম নেই,
শুধু একজন নায়ক খলনায়ক হয়ে পিটিয়ে মারছে রোদ
--খুলে দিচ্ছে গ্লাস -- গাঢ় হচ্ছে রাশ -- প্রাণাধিক মালাশয় বন্ধুত্ব। নেংটি
হচ্ছে নারী -- রূপ দেখালি -- কিচ্ছুটি দিলি না
এখন আমায় ছেড়ে
ডুগডুগির গায়ে আলতা মাখাচ্ছিস, আমি ছাড়াব চামড়া লাগাব রেজিন স্বর সপ্তকে তুলে
দেখাব কোমল গান্ধার ‘নাচ মেরি বুলবুল’। সাবমেরিনের খেলা না যায়
চেনা! জলের তলায় সি-গালের কাশি, অষ্টাদশীর নাভি, মুরগীর ঠ্যাং -- কেউ জানতেই চাইবে
না ক’পেগে কটা
মেয়ের মশালা
পোষ্টমর্টেম হয়! কলির বেহায়া কৃষ্ণ ঝুলন্ত রান্নাঘরের তাওয়ায় রুটির ফুটো খুঁজি,
চিনিকে ললন্তিকা বানিয়ে জাপটে ধরায়
চোখ-গোঁফ-গেঁটি। আরে ৩০ শতাংশ নাম্বার তোর
র্যাংক দিয়ে ঢাকব ভেবেছিলাম মেয়ে! পাঁজাকোলা করে নিয়ে যাব নীল হ্রদে। আগে বলব আমি নীল শিশু—সায়ানোসিস।
মচকে গেলে লাগাব রসুন প্রলেপ -- দাগ মোছার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিঁড়ে নেব চামড়া।
চর্বিত চর্বণে পেডিগ্রি খুলে দেব আয় মা! আমায়
নামচা দে -- ভারী সন্তান দে -- তলপেট মুড়ে যাক -- শুধু মা হ! গুঁড়িয়ে দে খুদকুড়ো। আমি
শরিকের দ্বিতীয় পুত্র বাইরে তা ধিন ধিন করি। খোলা মেঝেতে একা আঁতলামি করি -- স্বর্গের
মা দ্যাখে -- চড় মারে -- তবু মেয়ে ধরি শুধু মেয়ে ধরি। সাবমেরিনের বন্ধুরা আমার
থেকে তালে বড়... তবু ওরা আমায় খাল দেখিয়ে দিয়েছে। কুমীর আনবই... তুই না
মেয়ে -- বলেছিলাম সাজবি -- গুণ দেখাবি -- একমাত্র মেয়ে হলে সেটাও বলবি, তোর সবটা
জানব... রাক্ষসগণ
ভিখিরি হয়ে
মায়াবী খেলা খেলব -- তোকে সেক্সি বলব -- দ্রোণিতে বসে জনুর স্বপ্ন দেখাব -- ভেবে
নেব পাস্কাল... চাপ শুধু চাপ দেব। ঘরে তুলব ঘি মাখিয়ে -- যদি না হোস, সাবমেরিনে ঘোল খাওয়াব সখাদের --
ছেটাব তুকতাক বদনাম। এবার একসঙ্গে দাবায় টুঁটি ছেড়া শিখব... গুরু জল দেখাব লঘু
চাঁদ... আমি তালি মারা ক্ষ্যাপা, মাঝেই মাঝেই দিতে আসব দোল...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন