আস্তিক ও নাস্তিক
যে যার সৃষ্টি নিয়ে ব্যস্ত,
অপর শুধু শিউরে ওঠে।
বই তর্ক, বিদ্যা তর্ক, হৃদয় তর্ক,
দর্শন তর্ক, শ্রীরূপ তর্ক,
বেদ তর্ক, লোক তর্ক, যুক্তি তর্ক,
আধ্যাত্মিক তর্ক, আরও কত সব তর্ক!
তর্ক উড়ছে, তর্ক উড়ুক। খই খই-
আমি শুধু জরাসন্ধের মতোন
পৃথিবীর এক মেরু থেকে অপর মেরু
জাপটে ধরে আছি।
ভুল ছিল
আমার শীর্ষক দিচ্ছে কবিতা,
কবিতা চারু গন্ধহীন।
প্রকৃত রক্তে ভয় পেয়েও কী করে যেন এত তামা থাকে
ঠোঁটে!
এ কথা জেনেছিল কেউ?
এ কথা বলেছিল কেউ?
এখন ভালো লাগছে,
এই এখনকে ভালো লাগছে-
এই দুই পায়ের ফাঁকে
সার্বভৌম।
জঠর ফেটে গিয়ে, জঠর চেটে
বুঝি
এত কাল যেটা বলেছিলাম
সেটা ভুল ছিল।
ধুলো
ধুলোরও কিছু প্রপাত শব্দ আছে
জলের মতো নিচু চোখ না হলেও
এ ঘর ও ঘর সহজ নয়।
যতই
ছোট হও না কেন
কিছু নিশ্ছিদ্রতায়
শব্দ ও আকারের গণ্ডি কেটে
ঠিক ফিরে আসা যায়।
যা কিছু বলার ছিল
এখানে দীর্ঘ বালির সন্ত্রাস।
এমন মাৎসায়নের বাতাস,
যা কিছু শরীর আর শরীর জাত
তা দীর্ঘায়িত
করে।
সভ্যতার আঁশ খুলে ফেলে দেখি
যা কিছু বলার ছিল
যা কিছু বলার ছিল
কবেই বলা হয়ে গিয়েছে
নিথর এই শরীর
দিয়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন