যোনিস্কোয়ার
রীনা চায়ের প্লেট নিয়ে সদরঘর থেকে বেরিয়ে এলো হাসতে হাসতে। হা হা হা হি হি হি।
আমিবিহীন ওর হাসি দেখে আমি ক্রমশ গম্ভীর হয়ে উঠি – “এই রীনা, কী হয়েছে বল, হাসি
থামা, কী হয়েছে আগে বল!”
রীনার হাসি থামে না। হাসতে হাসতে নিজের বুকে আঙুল দেখায়,
যেখানে সদ্য স্ফীত হয়ে উঠছে কমলরাজি। আমার
মাথার ভেতর ওলোট পালোট হতে থাকে। আমি রীনাকে ধরে ঝাঁকাই -- “বল্, কী হয়েছে বল্!”
-- “ওই যে তপেশবাবু, হি হি, আমার গালটা টিপে দিতে
গিয়ে, হি হি, এখানেও আঙুল রেখে, হি হি
হি...”
আমি আর সহ্য করতে পারি না। সপাটে চড় মারি রীনার নরম ফর্সা
গালে।
রীনা আমার। আর কারও নয়। ওর স্তনের রেখায় আমি আঙুল দিয়ে রোজ মাপি
আমার থেকে বড় হলো কিনা। ওর পাতলা গোলাপী ঠোঁট পরখ করি আমার মোটা কালো ঠোঁট
দিয়ে। হতে পারে আমরা একই বয়সী! একই রকম ফ্রক পরি। একই
ইজের। তবু রীনা আমারই! সেটা রীনা বোঝে। আমরা দুজনে যখন যোনিস্কোয়ার খেলি, তখন রীনা আমার চোখে চোখ
রেখে চিরজীবনের কথা বলে।
চড় খেয়ে চোখ ছল ছল করে ওঠে রীনার। আমি ওকে শাসন করি – “তুই কেন চা দিতে গেলি? হরি
কি মরেছে?”
রীনা চুপ। চোখ মাটির দিকে। লাল মেঝেতে ফোঁটা ফোঁটা জলের
দাগ। আমার ডান হাতের আঙুলেও কীসের যেন দাগ গজিয়ে উঠছে। আঙুলের প্রান্ত থেকে উঠে
আসছে একটা তীব্র ব্যথা। মেঝেতে জলের দাগে আরও নতুন দাগ যোগ হতে থাকে।
আমরা দুজনে যোগের কথাই ভেবেছি। মাল্টিপ্লিকেশান কখনো ভাবিনি।
অথচ একের স্কোয়ার কখনো দুই হলো না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন