উদয়ানন্দ
পুটু আমার সহপাঠী, এখন সে থাকে মুম্বাইতে। ভালো নাম প্রশান্তকুমার দাশ। এখন অবশ্য কুমারত্ব ঘুচে গিয়ে বিয়ে টিয়ে করে তিন ছেলেমেয়ের বাবা। তাই এখন শুধুই প্রশান্ত দাশ। প্রায় তিন যুগ পরে সে জামশেদপুরে এসেছে। উঠেছে আমার বাড়িতেই। টাটা কোম্পানির কোনো কাজে তার এই জামশেদপুরে আসা। স্কুল জীবনে সে ছিল ঘোরতর নাস্তিক। আর এখন ঠিক উলটো। বিশাল আস্তিক। আসলে আস্তিক হওয়ার প্রথম সোপানটাই যে নাস্তিকতা, তা হয়তো সে জানত না। নাস্তিক হলে তবেই না আস্তিক! শুরু থেকে আস্তিক থাকলে দুর্ঘটনা ঘটবে কী করে! এখন প্রশান্ত ঘটা করে প্রতি রবিবার ভারত সেবাশ্রমে যায়। সেখানে সে যায় এক সন্ন্যাসীর কাছে। সন্ন্যাসীর নাম উদয়ানন্দস্বামী।
এই সংবাদটি সেবার প্রশান্তর কাছেই শুনলাম। শুনে এবং জেনে আমি মুচকে মুচকে হাসছিলাম। আমাকে হাসতে দেখে প্রশান্ত গম্ভীর হলো। ব্যাপারটা কি? আমার হাসির কারণটা আর চেপে রাখা গেল না। ফিরে যেতে হলো আমাদের সেই স্কুল জীবনে। বললাম, আমাদের সঙ্গে পড়ত, প্রতীক সেনকে তোর মনে পড়ে? প্রশান্ত বলল, হ্যাঁ, খুব মনে আছে। আমি বললাম, তোরা দুজনেই ছিলিস ঘোর নাস্তিক। ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে তোরা দুজনেই আমার সঙ্গে তর্ক করতিস, মনে আছে? প্রশান্ত বলল, বিলকুল মনে আছে। কিন্তু তাতে কী হলো? তুই হাসছিস কেন? আমি প্রশান্তকে শান্ত করে বললাম, সেই প্রতীক সেনই তোর সেই ভারত সেবাশ্রমের বিখ্যাত সন্ন্যাসী উদয়ানন্দস্বামী। প্রশান্ত আমার কথা শুনে রীতিমতো চমকে উঠল। বলল, সে কী রে! আমি তো প্রতি রবিবারে তাকে প্রণাম করি পা ছুঁয়ে! চরণামৃতও খেয়েছি! দাঁড়া, এবার ফিরে গিয়ে উদয়ানন্দর উদয় আমি অস্ত করে ছাড়ব!
এর পরের ঘটনা খুবই সংক্ষিপ্ত। কাজ শেষ করে পুটু জামশেদপুর থেকে ফিরে গেল মুম্বাই। যথারীতি রবিবারে গেল ভারত সেবাশ্রমে। প্রণাম করতে গিয়ে উদয়ানন্দের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলল, এবার জামশেদপুরে গিয়ে তোর স্বরূপ জানতে পারলাম। ব্যাটা, তুই আমাদের প্রতীক? কথাটা শুনে উদয়ানন্দস্বামী বললেন, চুপ চুপ! আমি তো তোকে অনেক আগেই চিনেছি রে পুটু! তা তুই জামশেদপুরে যখন গেছিলি, জামশেদপুরের বিখ্যাত ফকিরার চানাচুর এনেছিস তো?
পুটু আমার সহপাঠী, এখন সে থাকে মুম্বাইতে। ভালো নাম প্রশান্তকুমার দাশ। এখন অবশ্য কুমারত্ব ঘুচে গিয়ে বিয়ে টিয়ে করে তিন ছেলেমেয়ের বাবা। তাই এখন শুধুই প্রশান্ত দাশ। প্রায় তিন যুগ পরে সে জামশেদপুরে এসেছে। উঠেছে আমার বাড়িতেই। টাটা কোম্পানির কোনো কাজে তার এই জামশেদপুরে আসা। স্কুল জীবনে সে ছিল ঘোরতর নাস্তিক। আর এখন ঠিক উলটো। বিশাল আস্তিক। আসলে আস্তিক হওয়ার প্রথম সোপানটাই যে নাস্তিকতা, তা হয়তো সে জানত না। নাস্তিক হলে তবেই না আস্তিক! শুরু থেকে আস্তিক থাকলে দুর্ঘটনা ঘটবে কী করে! এখন প্রশান্ত ঘটা করে প্রতি রবিবার ভারত সেবাশ্রমে যায়। সেখানে সে যায় এক সন্ন্যাসীর কাছে। সন্ন্যাসীর নাম উদয়ানন্দস্বামী।
এই সংবাদটি সেবার প্রশান্তর কাছেই শুনলাম। শুনে এবং জেনে আমি মুচকে মুচকে হাসছিলাম। আমাকে হাসতে দেখে প্রশান্ত গম্ভীর হলো। ব্যাপারটা কি? আমার হাসির কারণটা আর চেপে রাখা গেল না। ফিরে যেতে হলো আমাদের সেই স্কুল জীবনে। বললাম, আমাদের সঙ্গে পড়ত, প্রতীক সেনকে তোর মনে পড়ে? প্রশান্ত বলল, হ্যাঁ, খুব মনে আছে। আমি বললাম, তোরা দুজনেই ছিলিস ঘোর নাস্তিক। ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে তোরা দুজনেই আমার সঙ্গে তর্ক করতিস, মনে আছে? প্রশান্ত বলল, বিলকুল মনে আছে। কিন্তু তাতে কী হলো? তুই হাসছিস কেন? আমি প্রশান্তকে শান্ত করে বললাম, সেই প্রতীক সেনই তোর সেই ভারত সেবাশ্রমের বিখ্যাত সন্ন্যাসী উদয়ানন্দস্বামী। প্রশান্ত আমার কথা শুনে রীতিমতো চমকে উঠল। বলল, সে কী রে! আমি তো প্রতি রবিবারে তাকে প্রণাম করি পা ছুঁয়ে! চরণামৃতও খেয়েছি! দাঁড়া, এবার ফিরে গিয়ে উদয়ানন্দর উদয় আমি অস্ত করে ছাড়ব!
এর পরের ঘটনা খুবই সংক্ষিপ্ত। কাজ শেষ করে পুটু জামশেদপুর থেকে ফিরে গেল মুম্বাই। যথারীতি রবিবারে গেল ভারত সেবাশ্রমে। প্রণাম করতে গিয়ে উদয়ানন্দের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলল, এবার জামশেদপুরে গিয়ে তোর স্বরূপ জানতে পারলাম। ব্যাটা, তুই আমাদের প্রতীক? কথাটা শুনে উদয়ানন্দস্বামী বললেন, চুপ চুপ! আমি তো তোকে অনেক আগেই চিনেছি রে পুটু! তা তুই জামশেদপুরে যখন গেছিলি, জামশেদপুরের বিখ্যাত ফকিরার চানাচুর এনেছিস তো?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন