কবিতা পারানি - ১৯
লব-এ বাস, হর-এর খবর রাখতেই হয়
ঘরে উঁকি, জাসুসি, মায় সেঁধানো
হরও কি একই ধারা?
দু-জন যদিও একপাতে খাইনি
এক গ্লাসে সোম
রস-এ মাতিনি
আরও যা সব করিনি করিনি...।
ওপরে থাকতে থাকতে নিচে যেতেও শখ হয়
পারি না
ওকে বাড়িয়ে বাড়িয়ে দেখেছি, উন-ই থেকে যায়
আমার নাম পরিচয় ঠিক রেখে
আমার ওপর তলার ঘর থেকে নিচ তলায় পৌঁছনো হয় না
ওর নাড়ী জানি, নক্ষত্র জানি
একটা সম্পর্ককে আজীবন আগলে রাখি
কিন্তু এক বিছানায় নৈব নৈব চঃ...।
আমি ফুল হয়ে দেখি, সেও কখন ফুল হয়ে হাসে
গান হলে সেও গান হয়ে যায়
‘আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে’র মধ্যে শুধুই এক উপসাগরীয় রেখা
যাকে ডিঙোনো গেল না শত সাঁতারেও...।
কবিতা পারানি - ২০
হর হর বোম বোম...
নিচে আর থাকব না, দ্রোহ...।
বাঁধ দিয়েছ?
উড়িয়ে দেব ভাসিয়ে দেব
সীতার পাতাল-প্রবেশ আমার ভেতর দিয়ে
আমার ভেতর দিয়ে বিশুদ্ধ পানীয় জল
মূলে থাকি আমূল
লব-কে চিনি জানি ভালোও বাসি
সে আমায় কতটুকু, খোঁজ না রেখে...।
মাইরি বলছি হর, হরণ না করেই
আর নিচে আর থাকব না, কথার কথা
দ্রোহ ফ্রোহ কিছু না
কি যেন অজান্তেই নিজেকে বিপ্রলব্ধা ভেবে বসি
হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক বলছেন ঐ লিঙ্গ সম্বন্ধীয় চেতনা
আর জানি লব ছাড়া আর কেউ এমন ভাবে না...
লব সবসময় > মি। আমি সবসময় < লব।
মেনে নিই তর্ক না করে
আমাকে বাড়িয়ে কমিয়ে নিরীক্ষার কাচে ফেলে
যতই দেখা হোক না
কখন যে লব-কেই জড়িয়ে থাকি...
ভালোবাসা? সে লবকেই জিজ্ঞাসা করুন...।
কবিতা পারানি - ২১
শালীন জড়ানো ভাবনা নেমে আসে খোলা মনের সমতলে
আমি তার শাল পশমে মুড়ি তার লীন-কে অমলিন
মার্কা একটা ছাপ্পা দিতে চেষ্টা করি, বাদ সাধে ন নামে না
কিছুটা আলাপ রাখি মানাতে
কিছুটা বিলাপ খুঁড়ে পরিখা
তুষার জড়ানো নেমে আসে যেন প্রথম মাটির ছোঁয়ায়...
পালন পোষণ তোষণ
ভরন পোষণ শাসন
সৃজন অলংকরণ
কূজন অন্বেষণ
মাটি দিতে জানে, আমি জানি জল, জানি সামান্য বাতাস
জানি ঘাম রক্তের নীল জালিকা
পোষ মানা পদ, শব্দ নয় ধ্বনির আখরে...
মরু লজ্জা পায় এমন কলি লিখিনি আজও
আজও বরফের জ্বর মেপে দেখিনি
শালীন-এ জড়িয়ে রেখেছি শুধু
শুধুই সমতলে জলে বাতাসে
কার ছোঁয়া কাকে যে জড়ালো কাকে যে জুড়ালো
জানে না অমৃত-কথা মৃতের সমান
অথবা কথার গায়ে বসন্ত উদ্ভেদ...।
লব-এ বাস, হর-এর খবর রাখতেই হয়
ঘরে উঁকি, জাসুসি, মায় সেঁধানো
হরও কি একই ধারা?
দু-জন যদিও একপাতে খাইনি
এক গ্লাসে সোম
রস-এ মাতিনি
আরও যা সব করিনি করিনি...।
ওপরে থাকতে থাকতে নিচে যেতেও শখ হয়
পারি না
ওকে বাড়িয়ে বাড়িয়ে দেখেছি, উন-ই থেকে যায়
আমার নাম পরিচয় ঠিক রেখে
আমার ওপর তলার ঘর থেকে নিচ তলায় পৌঁছনো হয় না
ওর নাড়ী জানি, নক্ষত্র জানি
একটা সম্পর্ককে আজীবন আগলে রাখি
কিন্তু এক বিছানায় নৈব নৈব চঃ...।
আমি ফুল হয়ে দেখি, সেও কখন ফুল হয়ে হাসে
গান হলে সেও গান হয়ে যায়
‘আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে’র মধ্যে শুধুই এক উপসাগরীয় রেখা
যাকে ডিঙোনো গেল না শত সাঁতারেও...।
কবিতা পারানি - ২০
হর হর বোম বোম...
নিচে আর থাকব না, দ্রোহ...।
বাঁধ দিয়েছ?
উড়িয়ে দেব ভাসিয়ে দেব
সীতার পাতাল-প্রবেশ আমার ভেতর দিয়ে
আমার ভেতর দিয়ে বিশুদ্ধ পানীয় জল
মূলে থাকি আমূল
লব-কে চিনি জানি ভালোও বাসি
সে আমায় কতটুকু, খোঁজ না রেখে...।
মাইরি বলছি হর, হরণ না করেই
আর নিচে আর থাকব না, কথার কথা
দ্রোহ ফ্রোহ কিছু না
কি যেন অজান্তেই নিজেকে বিপ্রলব্ধা ভেবে বসি
হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক বলছেন ঐ লিঙ্গ সম্বন্ধীয় চেতনা
আর জানি লব ছাড়া আর কেউ এমন ভাবে না...
লব সবসময় > মি। আমি সবসময় < লব।
মেনে নিই তর্ক না করে
আমাকে বাড়িয়ে কমিয়ে নিরীক্ষার কাচে ফেলে
যতই দেখা হোক না
কখন যে লব-কেই জড়িয়ে থাকি...
ভালোবাসা? সে লবকেই জিজ্ঞাসা করুন...।
কবিতা পারানি - ২১
শালীন জড়ানো ভাবনা নেমে আসে খোলা মনের সমতলে
আমি তার শাল পশমে মুড়ি তার লীন-কে অমলিন
মার্কা একটা ছাপ্পা দিতে চেষ্টা করি, বাদ সাধে ন নামে না
কিছুটা আলাপ রাখি মানাতে
কিছুটা বিলাপ খুঁড়ে পরিখা
তুষার জড়ানো নেমে আসে যেন প্রথম মাটির ছোঁয়ায়...
পালন পোষণ তোষণ
ভরন পোষণ শাসন
সৃজন অলংকরণ
কূজন অন্বেষণ
মাটি দিতে জানে, আমি জানি জল, জানি সামান্য বাতাস
জানি ঘাম রক্তের নীল জালিকা
পোষ মানা পদ, শব্দ নয় ধ্বনির আখরে...
মরু লজ্জা পায় এমন কলি লিখিনি আজও
আজও বরফের জ্বর মেপে দেখিনি
শালীন-এ জড়িয়ে রেখেছি শুধু
শুধুই সমতলে জলে বাতাসে
কার ছোঁয়া কাকে যে জড়ালো কাকে যে জুড়ালো
জানে না অমৃত-কথা মৃতের সমান
অথবা কথার গায়ে বসন্ত উদ্ভেদ...।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন