ঘর না পথ?
(১)
পথ বলতে বাঁশের সাঁকো
সাঁকোর সেতু বিষণ্ণ সুর
সুরের আলোয় গান ধরেছে
জ্যোৎস্না তারার একলা নূপুর
নূপুর পায়েই, ছলাত ছলাত
সাইকেলে সে রাত বারোটা
রাস্তারা সব নাচতে থাকে
নাচের তালেই ঘড়ির কাঁটা।
বিষের কাঁটায় ছোবল ভরাট
নখের ডগা - নেলপালিশে
রাস্তারা সব গুমরে মরে
রাতের মরণ - রাতবালিশে।
বনপলাশীর বন্য চিবুক
অন্য কি কেউ ধরতে পারে
বন্য মানেই আদিমপোকা
গুমরে আছে খাদের ধারে
খাদ মানে সেই জলাশয়ের
বিকেল বিকেল নদীর কথা
ভর দুপুরে ভাঁটার টানে
জোয়ার আনে, উচ্ছ্বলতা...
মুখগুলো সব মুখ ঠিক নয়
মুখ মানে তার মুখোশ খেলা
খেলার ভেতর পাশার চালে
মুখোশ এঁটে মুখের মেলা।
সেই মেলাতেই পথ গিয়েছে
পথ যেখানেই অনেক দূর
পথের ধারে মনের মানুষ
পথেই আমার হৃদয়পুর।
(২)
যে আলোটি জ্বালার কথা
রন্ধ্রে শিখা জাজ্বল্যমান
যে দিনান্তে রাতের তারা
শেষ বাটিতে বৃষ্টিবসান
তোমার মতো দিনের ছায়ায়
ঘরের ভেতর লুটোপুটি
একটু সোজা, একটু বাঁকা
দাবার চালে দাবার গুটি
সুতোর মতো লম্বা তো নয়
কিংবা একটু বেঁটে
আকাশ তবু হাতের মুঠোয়
আমসত্ব ঠোঁটে
সেই দিনে সেই গল্প টাকার?
সেই যে চাঁদের বুড়ি,
সেই যে সে এক তিন তলোয়ার
বাড়ির তো সেই ছাদ আর নেই
বাড়ি মানেই বন
বনের মধ্যে ঘর বেঁধেছেন
পাগলপারা মন
মনের কথা, কথার পিঠে
শুক্তনি চচ্চড়ি
কথার ভাঁজে কথাই পোড়ে
কথার কাদম্বরী
কাদম্বরীর নামটা চেনা
আদব আঁটোসাটো
শরীর জুড়ে শক্ত আঁচড়
মনের দেওয়াল কাটো
দেওয়াল জুড়ে একটা শ্রমিক
হেঁটেই বেড়ান রোজ-
রোজের ঘরে সন্ধিপুজো
ঘরেই ঘরের খোঁজ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন