উড়াল
যেন বা ঘোড়ারোগে আক্রান্ত এইসব দিন
জানালার শার্শিতে এপিটাফ লিখল কেউ
ফুটনো্টে পড়ে থাকা মৃতসব নদীদের নামে
অতএব গুটিয়ে নিচ্ছি তরল রোদের পৃষ্ঠাগুলি
হাওয়ার হেলানে ভেঙে যাবে পুরনো কাচের শহর
মৃদু ফিশফাশ আর পদধ্বনি মিলিয়ে গেলে
কেঁপে কেঁপে নিভে যায় লাল পাড় শাড়ির আগুন
চোখ থেকে চোখ, হাইফেন দূরত্বে
উড়ে উড়ে ক্লান্ত সব আইবুড়ো চিল
একটি কো্লন বা যতি চিহ্নও নেই
মাঝে মাঝে পালকের পান্থশালায় তারা আনমনে
ডেথনো্ট লেখে নিজেরই পাখনায়
যেহেতু জানি না দাঁড়কাকের ধারাপাত
শহর ও সংসার, সুতোর বাঁধনে গোপন মাংসের ভণিতা
আর সব শূণ্যস্থান ভরে উঠবে আকাশে, তৃষ্ণায়
এমত ভবিষ্যত ভাবনায়
উড়াল শিখছি আজ কুড়ি বছর।
আয়নার অন্ধ
অবিণন্যস্ত সিঁথির বাঁকে
দ্বিধা বিভক্ত হলে নদী আর রাত
অমীমাংসিত থেকে যাই
আয়নার অন্ধ মানুষটির সামনে
তার আত্মার পাশে একটি ক্ষুধার্ত বাঘিনীকে
জাগ্রত দেখি, আর দেখি তার দৃষ্টিহীনতায়
অসুস্থ প্রজাপতিরা কেমন অসুখে থাকে
তথাপি হৃদপিন্ড স্পর্শের বহু আগেই
ক্ষয়ে যাওয়া হাড়ের ভাঁজে ঘুমিয়ে পড়ে
পথ ভুল করা ছুরিটি
আর চোখ বুঁজলে অনেক তরঙ্গ
বয়ে আনে সমুদ্রের নোনজ হাওয়া।
আত্মার ঘোড়াগুলি
প্রান্তরে প্রস্তরে ক্ষুরের ঘর্ষণ, ছড়ানো স্ফুলিঙ্গ,
আমি সেই অগ্নিবোধক লাল ঘোটকির নিহত নন্দন
হাওয়াই সন্তরণে ক্রমশ এক আসমান, দুই আসমান,
ছুঁয়ে ছুঁয়ে সুনীল সপ্তাকাশ
ফিরে আসছি বালিঝড়ে হারানো সাকিনের খোঁজে
চাঁদের অলিন্দে গড়ায় বিগত ঘোড়া-ধূলির
দৃশ্যাবলি, পাখনায় জমে থাকা বহুদিনের আনিদ্রা
নিয়ে আমি তবু পাড়ি দেব চিবুকের প্রান্তর
যদি বা জুলফিতে স্থির নেই হন্তার বিনাশ ভাবনা
যদি বা পায়ে পায়ে খসে পড়ে
এই কেচ্ছাবহুল রজনীর কালো আঙরাখা
পৌরাণিক আঁধারে বাজে মাতাল করতালি
আহা, কী নিঃসঙ্গ শয়তান সে
তাঁবু গেড়ে বাস করে পাঁজরের কত গভীরে!
থেমে নেই আত্মার ঘোড়াগুলি,
খোড়াঘাতে ভাঙছে পিতামহের বাউল হৃদয়
আর, এই যে দৃষ্টির গ্রন্থি ছিঁড়ে পালায়
ঝাঁকে ঝাঁকে সোনারঙ ডানার ঈগল
আমি তাদের অবতরণ প্রার্থনা করি
নিঃঘাস হৃদয়ের পাললিক মৃত্তিকায়।
যেন বা ঘোড়ারোগে আক্রান্ত এইসব দিন
জানালার শার্শিতে এপিটাফ লিখল কেউ
ফুটনো্টে পড়ে থাকা মৃতসব নদীদের নামে
অতএব গুটিয়ে নিচ্ছি তরল রোদের পৃষ্ঠাগুলি
হাওয়ার হেলানে ভেঙে যাবে পুরনো কাচের শহর
মৃদু ফিশফাশ আর পদধ্বনি মিলিয়ে গেলে
কেঁপে কেঁপে নিভে যায় লাল পাড় শাড়ির আগুন
চোখ থেকে চোখ, হাইফেন দূরত্বে
উড়ে উড়ে ক্লান্ত সব আইবুড়ো চিল
একটি কো্লন বা যতি চিহ্নও নেই
মাঝে মাঝে পালকের পান্থশালায় তারা আনমনে
ডেথনো্ট লেখে নিজেরই পাখনায়
যেহেতু জানি না দাঁড়কাকের ধারাপাত
শহর ও সংসার, সুতোর বাঁধনে গোপন মাংসের ভণিতা
আর সব শূণ্যস্থান ভরে উঠবে আকাশে, তৃষ্ণায়
এমত ভবিষ্যত ভাবনায়
উড়াল শিখছি আজ কুড়ি বছর।
আয়নার অন্ধ
অবিণন্যস্ত সিঁথির বাঁকে
দ্বিধা বিভক্ত হলে নদী আর রাত
অমীমাংসিত থেকে যাই
আয়নার অন্ধ মানুষটির সামনে
তার আত্মার পাশে একটি ক্ষুধার্ত বাঘিনীকে
জাগ্রত দেখি, আর দেখি তার দৃষ্টিহীনতায়
অসুস্থ প্রজাপতিরা কেমন অসুখে থাকে
তথাপি হৃদপিন্ড স্পর্শের বহু আগেই
ক্ষয়ে যাওয়া হাড়ের ভাঁজে ঘুমিয়ে পড়ে
পথ ভুল করা ছুরিটি
আর চোখ বুঁজলে অনেক তরঙ্গ
বয়ে আনে সমুদ্রের নোনজ হাওয়া।
আত্মার ঘোড়াগুলি
প্রান্তরে প্রস্তরে ক্ষুরের ঘর্ষণ, ছড়ানো স্ফুলিঙ্গ,
আমি সেই অগ্নিবোধক লাল ঘোটকির নিহত নন্দন
হাওয়াই সন্তরণে ক্রমশ এক আসমান, দুই আসমান,
ছুঁয়ে ছুঁয়ে সুনীল সপ্তাকাশ
ফিরে আসছি বালিঝড়ে হারানো সাকিনের খোঁজে
চাঁদের অলিন্দে গড়ায় বিগত ঘোড়া-ধূলির
দৃশ্যাবলি, পাখনায় জমে থাকা বহুদিনের আনিদ্রা
নিয়ে আমি তবু পাড়ি দেব চিবুকের প্রান্তর
যদি বা জুলফিতে স্থির নেই হন্তার বিনাশ ভাবনা
যদি বা পায়ে পায়ে খসে পড়ে
এই কেচ্ছাবহুল রজনীর কালো আঙরাখা
পৌরাণিক আঁধারে বাজে মাতাল করতালি
আহা, কী নিঃসঙ্গ শয়তান সে
তাঁবু গেড়ে বাস করে পাঁজরের কত গভীরে!
থেমে নেই আত্মার ঘোড়াগুলি,
খোড়াঘাতে ভাঙছে পিতামহের বাউল হৃদয়
আর, এই যে দৃষ্টির গ্রন্থি ছিঁড়ে পালায়
ঝাঁকে ঝাঁকে সোনারঙ ডানার ঈগল
আমি তাদের অবতরণ প্রার্থনা করি
নিঃঘাস হৃদয়ের পাললিক মৃত্তিকায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন