জিঙ্গল অল দ্য ওয়ে
উল্কা
ঘরের দরজাটা ভেজাতেই রাতের গল্প শুরু হলো।
কার পারকিং ছাড়িয়ে এডমণ্ড স্ট্রিটে আধভিজে ট্রাফিক থমকে আছে এঁটো ডিনার সেটের মতো। আজ ডিসেম্বরের পঁচিশ তারিখ... রাত বারোটা নয়। থার্মোমিটারে তাপমান ঘুরছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পাশাপাশি। মেরীর লক্ষ্য কাচের জানালা ভেদ করে ছড়িয়ে ছিল ওয়ে ইন ওয়ে আউট চ্যানেলে। প্রতিবারের মতো এবারেও কো্নো আকাঙ্ক্ষা নেই। স্লেজগাড়ি ফেলে ফোর্থ ডায়মেনশনে ভেসে বেড়াচ্ছে লাল জোব্বা পড়া স্যান্টা ক্লজ। মেরী অপলক। গীর্জায় সাদা মোমবাতির সাথে কেঁপে কেঁপে উঠছে কোরাস - সেন্হর জেসাস্। সারা সকাল ঝিরঝিরে বৃষ্টির পর শহর জুড়ে নেমে এসেছে মনোরম শীতলতা। বিগত তেইশ বছর এভাবেই হরেক রকম উষ্ণতা ঘেরা ডিসেম্বর কাটাতে মেরী অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্রিসমাস মানে নিঃসন্দেহে ফার গাছ কিন্তু বরফ...
হট ক্রস বানের সাথে কেকের দিনটার অনেক পার্থক্য। নিঃস্পৃহ অপেক্ষা থাকে না। থাকে প্রার্থনা আর বেলা শেষের গল্প।
টেবিলের ওপর বেকড্ কেক। ছুরির দাগ পড়েনি এখনও। নিঝুম ফায়ার প্লেসের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা সুসজ্জিত ফার গাছের সারা শরীরে ঝুলে রয়েছে পরী, নানা রঙের বল, ক্যান্ডি স্টিক আর ক্রিসমাস গার্ল্যাণ্ড। ঝিকমিক করছে মাল্টি আলোর ঝলকানিতে। লাল রঙের একপাটি মোজা ঝুলে আছে অভিকর্ষের টানে। এটারও কোনো কিছুর প্রতি আসক্তি নেই। ক্রুশে বিদ্ধ শরীরটা ঘরেতে সাজানো বেথলেহেমে জন্মদৃশ্যের মাথায় ঠিক সেই উজ্জ্বল তারাটির মতো। কপালে হাতের গোছা আঙুল ঠেকিয়ে দুটো কাঁধ ছুঁয়ে নেয় মেরী - আমেন। সকাল হতে এখনও ঘণ্টা দুয়েক।
অ্যাড্রিঅ্যানো গত সপ্তাহের মেলে লিখেছে, ওদের হস্টেলে বরফ মোড়া রাস্তায় স্লেজে চেপে উড়ে বেড়ায় হাজার হাজার লাল জোব্বা। ঝুপ ঝুপ করে উপহার পড়ে, মস্ত ঝোলা থেকে। গনগনে ফায়ার প্লেসে ঝোলানো মোজার বহর ফুলে ওঠে। আরও কত কী! এবছর সে স্যান্টা সাজবে। এক ঝুলি উপহার নিয়ে গিয়ে দাঁড়াবে কারুর দরজায়।
মিনিট পাঁচেক পর...
জিঙ্গেল বেলকে টক্কর দিয়ে আচমকা বেজে উঠল ডোর বেল। দরজার সামনে জমেছে সাদা বরফের গুঁড়ো। এডমণ্ড স্ট্রিটের ডায়মেনশনের বেড়া চুরচুর করে পোল বদলে ফেলছে মেরী। আর কেউ না জানলেও মেরী জানে, এই দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে স্লেজগাড়ি আর বল্গা হরিণ।
ঘরের দরজাটা ভেজাতেই রাতের গল্প শুরু হলো।
কার পারকিং ছাড়িয়ে এডমণ্ড স্ট্রিটে আধভিজে ট্রাফিক থমকে আছে এঁটো ডিনার সেটের মতো। আজ ডিসেম্বরের পঁচিশ তারিখ... রাত বারোটা নয়। থার্মোমিটারে তাপমান ঘুরছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পাশাপাশি। মেরীর লক্ষ্য কাচের জানালা ভেদ করে ছড়িয়ে ছিল ওয়ে ইন ওয়ে আউট চ্যানেলে। প্রতিবারের মতো এবারেও কো্নো আকাঙ্ক্ষা নেই। স্লেজগাড়ি ফেলে ফোর্থ ডায়মেনশনে ভেসে বেড়াচ্ছে লাল জোব্বা পড়া স্যান্টা ক্লজ। মেরী অপলক। গীর্জায় সাদা মোমবাতির সাথে কেঁপে কেঁপে উঠছে কোরাস - সেন্হর জেসাস্। সারা সকাল ঝিরঝিরে বৃষ্টির পর শহর জুড়ে নেমে এসেছে মনোরম শীতলতা। বিগত তেইশ বছর এভাবেই হরেক রকম উষ্ণতা ঘেরা ডিসেম্বর কাটাতে মেরী অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্রিসমাস মানে নিঃসন্দেহে ফার গাছ কিন্তু বরফ...
হট ক্রস বানের সাথে কেকের দিনটার অনেক পার্থক্য। নিঃস্পৃহ অপেক্ষা থাকে না। থাকে প্রার্থনা আর বেলা শেষের গল্প।
টেবিলের ওপর বেকড্ কেক। ছুরির দাগ পড়েনি এখনও। নিঝুম ফায়ার প্লেসের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা সুসজ্জিত ফার গাছের সারা শরীরে ঝুলে রয়েছে পরী, নানা রঙের বল, ক্যান্ডি স্টিক আর ক্রিসমাস গার্ল্যাণ্ড। ঝিকমিক করছে মাল্টি আলোর ঝলকানিতে। লাল রঙের একপাটি মোজা ঝুলে আছে অভিকর্ষের টানে। এটারও কোনো কিছুর প্রতি আসক্তি নেই। ক্রুশে বিদ্ধ শরীরটা ঘরেতে সাজানো বেথলেহেমে জন্মদৃশ্যের মাথায় ঠিক সেই উজ্জ্বল তারাটির মতো। কপালে হাতের গোছা আঙুল ঠেকিয়ে দুটো কাঁধ ছুঁয়ে নেয় মেরী - আমেন। সকাল হতে এখনও ঘণ্টা দুয়েক।
অ্যাড্রিঅ্যানো গত সপ্তাহের মেলে লিখেছে, ওদের হস্টেলে বরফ মোড়া রাস্তায় স্লেজে চেপে উড়ে বেড়ায় হাজার হাজার লাল জোব্বা। ঝুপ ঝুপ করে উপহার পড়ে, মস্ত ঝোলা থেকে। গনগনে ফায়ার প্লেসে ঝোলানো মোজার বহর ফুলে ওঠে। আরও কত কী! এবছর সে স্যান্টা সাজবে। এক ঝুলি উপহার নিয়ে গিয়ে দাঁড়াবে কারুর দরজায়।
মিনিট পাঁচেক পর...
জিঙ্গেল বেলকে টক্কর দিয়ে আচমকা বেজে উঠল ডোর বেল। দরজার সামনে জমেছে সাদা বরফের গুঁড়ো। এডমণ্ড স্ট্রিটের ডায়মেনশনের বেড়া চুরচুর করে পোল বদলে ফেলছে মেরী। আর কেউ না জানলেও মেরী জানে, এই দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে স্লেজগাড়ি আর বল্গা হরিণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন