সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

১৭) মানিক সাহা

তারাখসা

যে অন্ধকারের কথা আমি মাঝে মাঝে বলি
তার জামায় কোনো পকেট নেই। শুধু
বুকে একটি চাঁদ গোঁজা থাকে।
চাঁদ জামার বুকেই জন্ম নেয়, ছোট বড় হয়, মারা যায়।

যেসব পাগল এবং পল্লীগীতি গায়ক-গায়িকা
আমাদের শহরে বাস করে, তাদের
চোখের ভিতর দিয়ে কিছু নদী বয়ে গেছে।

খিটখিটে বুড়ো এবং খিস্তিমারা যুবকের হাতে
জীবন্ত নারীদের ছবি ছটফট করে।
তাদের ভিতরের-পোশাক থেকে উড়ে আসে
অসংখ্য ফুলের পালক।

ঘুমিয়ে পড়তে চেয়েও রাতের লেজ বরাবর
সুতো ছাড়ছে কেউ...
সাবধানে উড়তে চেয়ে আমার প্রিয় ঘুড়ির হাত
ছুঁয়ে দিচ্ছে তারা, আর
খসে পড়ছে ঝরে পড়া স্বপ্নের মতো।


মৃত্যু তৃষ্ণাহীন
পাশ কাটিয়ে যাওয়া অফিসবাড়ি
                       গোরস্থানের মাটি তুলে এনেছে।
তার হাতের রেখা চুরমার হয়ে গেল এইমাত্র।

কিছু শব্দ বার বার ভুল করে আসে
                      কিছু জীবনযাপন বেহিসেবী রাংতার মতো
                      কিছু জলযান আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়...

সমুদ্রের ডাক শুনতে পাই...
সমুদ্র-পাখি ওড়ে পাহাড় ও জলের সন্ধিতে।

                     আমাদের মৃত্যুর পরোয়ানা
                     জানি, তারই ঠোঁটে আলগোছে লেগে আছে।


রঙ পেনসিল

গায়ে দাগ লেগে আছে এমন ভাবে
চারপাশের লোকেরা আমার দিকে তাকায়।
রোদ ঘষে ঘষে পার্থিব প্রলাপগুলিকে আরও
চকচকে করে নিই।
তাদের জানালা খুলে উড়িয়ে দিই
রঙিন চশমা, কিছু ক্লোরফর্ম, জল আর টিনের সেপাই...

কেমন পা বাড়িয়ে বিছানা অবধি ঘর ঢুকে গেছে!
আমি তার বুকে পিঠে হাত বুলিয়ে দিই।
জল পালটে দেবার গান গাইতে গাইতে কিছু মেঘ
দিগন্তে খুঁটি পুতে রাখে।

আমি তাদের কখনও না বলি না
আমি তাদের প্রেমিকাদের বাড়ি বাড়ি চিঠি ফেরি করি।

1 টি মন্তব্য: