আমার সময়
ঝড় ঊর্ধ্বে
নিয়ে চলে
ভিক্ষুকের দীর্ণ
অভিলাষ।
ভাঙ্গা হাড়ে
চড়ুই খুঁটে খায়
মজ্জাগত ক্ষুদ...
আমি চোখে চোখে
বেরিয়ে পড়ি তার
সন্ধানে,
মায়াচ্ছন্ন
দিনলিপি, অস্তাচলে
লাল সূর্য আমাদের,
তার ফেলে যাওয়া
আঁজলা ভরা প্রেম!
কণ্ঠস্থ আমার শ্রাবণের
ঢেউ
কতকটা দরজা অবধি,
সঞ্চারিত লালায়
লালসায়
গলিত স্পর্শ যত!
মনে আছে, চাঁদের অভিসরণ,
ক্ষয়িষ্ণু রাত!
আর এক সকালের
প্রতীক্ষায়
জল থেকে উঠে আসে
ধারালো সময়
দগ্ধ রাত
মশাল নিভিয়ে
চুপচাপ বসে আছি।
অরণ্যের ভেতর
লাফিয়ে উঠছে বিচ্যুত ইচ্ছাগুলো,
পোড় খাওয়া
বিকেলে বাঁক-হীন এক চাঁদ।
পাখির মতোন চোখ
নিয়ে কেউ বসে নেই
অপেক্ষায়। জানি বলেই পাতা ঝরা
আকাশী গাছটির নিচে
চেতনা রাখি
সন্তর্পণে।
জানি বলেই হলুদ
হাতের চেটো ধুয়ে ফেলি সন্ধ্যাবেলায়।
বাসাভর্তি উৎকট
নীল রঙ, দেদার রত্নসম্ভার খোলাখুলি
এসে দাঁড়ায়
আমার দ্বিপ্রহর;
গাঙ শালিকের উবে
যাওয়া আঁশটে বাতাস
চোখে তন্দ্রা এসে
ছুঁয়ে যাওয়ার আগে
অনামিকার
প্রসাধনী অঙ্গুরীয়,
তামাশায় ভরিয়ে
তোলে বিদগ্ধ রাত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন