মধুছন্দা মিত্র ঘোষ
ব্যঞ্জনবর্ণ টু গোঁফের আমি-তুমি
“পুরুষের হৃদয়ের নাগাল পেতে হলে আগে নাকি তার স্টমাক তুষ্ট করতে হবে --ডিসগাস্টিং -- কে যে এমন বিধান দিয়েছিলেন?” রিমঝিম আজ কিটি পার্টিতে এসেই মুখ ব্যাজার করে বলল।
আমরাও আজ আড্ডার একটা খোরাক পেয়ে গেলাম। মৌমি কথার খেই টেনে বলল, “হেই গার্লস্, লিসন লিসন! ঐ পেটপুজো করেও কি বাবুদের মন পাবে ভেবেছ? এখনও ওদের মুখে শুনবে, মায়ের হাতের অমুক রান্না, আহা, জাস্ট ফাটাফাটি! জিভে লেগে আছে। মায়ের হাতের তমুক রান্না, ওয়াও, কোনো কথা হবে না। চকাস্ করে জিভের জল টানবে আর পরম পূজ্য মাতাশ্রীর বিবিধ রান্নার ফিরিস্তি শুনিয়ে আবেগ আতিশয্য আদিখ্যেতায় নষ্টালজিক হবে। এত বিশ্রি রকম হিউমিলিয়েটিং লাগে তখন!”
দেবাযানী বলল, “টিভির চ্যানেল হাতড়িয়ে ‘মাস্টারস শেফ’, ‘ব্যঞ্জনবর্ণ’, ‘যত হাসি তত রান্না’, ‘রান্নাঘর’ এমন কত যে রান্নার অনুষ্ঠান থেকে রেসিপি ট্রাই করেছি! ম্যাগাজিন ঘেঁটে ঘেঁটে যত্ন করে সাবেকি, চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল পদ রেঁধে বেড়ে খাইয়েও দেখেছি। পেট ভরে খেয়ে পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেও একবারও মুখ ফুটে বলবে না, রান্নাটা আজ দারুণ হয়েছে! আসলে নিজের বউয়ের প্রসংশা করতেই যে ওদের বাধো বাধো ঠেকে!”
শ্রীজা বেশ ফুরফুরে মেজাজে বলল, “ইস্, একটা সময়ে টিভিতে ‘খানাখাজানা’ অনুষ্ঠানটা দেখতে বসে আমি তো শেফ সঞ্জীব কাপুরের প্রেমেই পড়ে গেছিলাম। রান্না করাটা ততটা খেয়াল করতাম না। নজর করতাম ওঁর গালের মিষ্টি টোল আর গোঁফের ফাঁক গলে কিউট কিউট হাসিটা। ওমা হঠাৎ একদিন দেখি, গোঁফটাই কেটে উড়িয়ে দিয়েছে! আমার সেদিন খুব মন খারাপ হয়ে গেছিল”।
ব্যস্, টপিক ঘুরে গেল স্বামীদের মৌখিক তুলোধোনা করা থেকে পাচকের বাহারি গোঁফের থাকা না থাকা নিয়ে। সেই কমল হাসানের মোটা গোঁফ, বাংলার বাঘ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের গোঁফ থেকে মঙ্গল পান্ডের মেকআপে আমীর খানের গোঁফ, প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা ব্রিজেশ প্যাটেলের গোঁফ থেকে একেবারে হালের শিখর ধাওয়ান। ভাস্বতীর বরের পার্সোনালিটি সিগ্নেচার, সাধের গোঁফে ইদানীং নাকি খান দুই-চার রুপালি চমক আসাতে এবং বউকে না জানিয়ে ক্লিন সেফ হওয়াতে, টানা তিনদিন সে নাকি বরের সাথে মনের দুঃখে গোঁসা করে কথাই বলেনি। এদিকে নন্দিতার বরের এক চিলতে সরু গোঁফের যদি ফ্যান ক্লাব করা যায়, তাহলে অনেকেই তার সদস্য হয়ে যেতে পারে বলে সম্মতি জানায়।
এর মাঝখানে ঝিলিক আবার একটা মোক্ষম প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল, “আচ্ছা, ক্যালেন্ডার বা মূর্তিতে কোনো পুরুষ দেবতার গোঁফ থাকে না কেন, বল্ তো? আহা – নারায়ণ, কৃষ্ণ বা শিবঠাকুরের যদি একটা করে ঝুরোগোঁফ থাকতো – যা হ্যান্ডু লাগতো না...”
আমি বলতে গেলাম, “কেন বিশ্বকর্মা, কার্তিক এঁদের তো গোঁফ আছে!”
নন্দিতা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, “হুম্ম্ তা আছে, তবে ওঁরা তো আর ঠাকুর ঘরের সিংহাসনে বড় একটা থাকেন না! ওঁরা ঐ প্যান্ডেলেই দু’চারদিন ঐ আর কি...”
“পুরুষের হৃদয়ের নাগাল পেতে হলে আগে নাকি তার স্টমাক তুষ্ট করতে হবে --ডিসগাস্টিং -- কে যে এমন বিধান দিয়েছিলেন?” রিমঝিম আজ কিটি পার্টিতে এসেই মুখ ব্যাজার করে বলল।
আমরাও আজ আড্ডার একটা খোরাক পেয়ে গেলাম। মৌমি কথার খেই টেনে বলল, “হেই গার্লস্, লিসন লিসন! ঐ পেটপুজো করেও কি বাবুদের মন পাবে ভেবেছ? এখনও ওদের মুখে শুনবে, মায়ের হাতের অমুক রান্না, আহা, জাস্ট ফাটাফাটি! জিভে লেগে আছে। মায়ের হাতের তমুক রান্না, ওয়াও, কোনো কথা হবে না। চকাস্ করে জিভের জল টানবে আর পরম পূজ্য মাতাশ্রীর বিবিধ রান্নার ফিরিস্তি শুনিয়ে আবেগ আতিশয্য আদিখ্যেতায় নষ্টালজিক হবে। এত বিশ্রি রকম হিউমিলিয়েটিং লাগে তখন!”
দেবাযানী বলল, “টিভির চ্যানেল হাতড়িয়ে ‘মাস্টারস শেফ’, ‘ব্যঞ্জনবর্ণ’, ‘যত হাসি তত রান্না’, ‘রান্নাঘর’ এমন কত যে রান্নার অনুষ্ঠান থেকে রেসিপি ট্রাই করেছি! ম্যাগাজিন ঘেঁটে ঘেঁটে যত্ন করে সাবেকি, চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল পদ রেঁধে বেড়ে খাইয়েও দেখেছি। পেট ভরে খেয়ে পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেও একবারও মুখ ফুটে বলবে না, রান্নাটা আজ দারুণ হয়েছে! আসলে নিজের বউয়ের প্রসংশা করতেই যে ওদের বাধো বাধো ঠেকে!”
শ্রীজা বেশ ফুরফুরে মেজাজে বলল, “ইস্, একটা সময়ে টিভিতে ‘খানাখাজানা’ অনুষ্ঠানটা দেখতে বসে আমি তো শেফ সঞ্জীব কাপুরের প্রেমেই পড়ে গেছিলাম। রান্না করাটা ততটা খেয়াল করতাম না। নজর করতাম ওঁর গালের মিষ্টি টোল আর গোঁফের ফাঁক গলে কিউট কিউট হাসিটা। ওমা হঠাৎ একদিন দেখি, গোঁফটাই কেটে উড়িয়ে দিয়েছে! আমার সেদিন খুব মন খারাপ হয়ে গেছিল”।
ব্যস্, টপিক ঘুরে গেল স্বামীদের মৌখিক তুলোধোনা করা থেকে পাচকের বাহারি গোঁফের থাকা না থাকা নিয়ে। সেই কমল হাসানের মোটা গোঁফ, বাংলার বাঘ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের গোঁফ থেকে মঙ্গল পান্ডের মেকআপে আমীর খানের গোঁফ, প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা ব্রিজেশ প্যাটেলের গোঁফ থেকে একেবারে হালের শিখর ধাওয়ান। ভাস্বতীর বরের পার্সোনালিটি সিগ্নেচার, সাধের গোঁফে ইদানীং নাকি খান দুই-চার রুপালি চমক আসাতে এবং বউকে না জানিয়ে ক্লিন সেফ হওয়াতে, টানা তিনদিন সে নাকি বরের সাথে মনের দুঃখে গোঁসা করে কথাই বলেনি। এদিকে নন্দিতার বরের এক চিলতে সরু গোঁফের যদি ফ্যান ক্লাব করা যায়, তাহলে অনেকেই তার সদস্য হয়ে যেতে পারে বলে সম্মতি জানায়।
এর মাঝখানে ঝিলিক আবার একটা মোক্ষম প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল, “আচ্ছা, ক্যালেন্ডার বা মূর্তিতে কোনো পুরুষ দেবতার গোঁফ থাকে না কেন, বল্ তো? আহা – নারায়ণ, কৃষ্ণ বা শিবঠাকুরের যদি একটা করে ঝুরোগোঁফ থাকতো – যা হ্যান্ডু লাগতো না...”
আমি বলতে গেলাম, “কেন বিশ্বকর্মা, কার্তিক এঁদের তো গোঁফ আছে!”
নন্দিতা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, “হুম্ম্ তা আছে, তবে ওঁরা তো আর ঠাকুর ঘরের সিংহাসনে বড় একটা থাকেন না! ওঁরা ঐ প্যান্ডেলেই দু’চারদিন ঐ আর কি...”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন