হাংরি আন্দোলনের উত্তরাধিকার
সমীর রায়চৌধুরী
১৯৬১ থেকে ১৯৬৫, এই পাঁচ বছর ভয়ংকর প্রতিরোধের মুখোমুখি হাংরি আন্দোলন ঘটে। অথচ আজও এই আন্দোলনের প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসে, অর্থাৎ তার উত্তরাধিকারের জের আজও সক্রিয়। হাংরি আন্দোলনকারীরা প্রচলিত মেইন স্ট্রিম ধারা থেকে সরে এসে উত্তর ঔপনিবেশিক পর্বে প্যারাডিম শিফট্ ডিসকোর্সের বাঁক বদলের প্রসঙ্গ তোলেন এবং নিজেদের টেক্সটে তুলে ধরেন। বাঁক বদলের ডিসকোর্স।
আজও মেইন স্ট্রিমের বাইরে এই ধরনের ডিসকোর্সকে যাঁরা গুরুত্ব দেন, তাঁরা মেইন স্ট্রিমের বাইরে থাকতেই পছন্দ করেন। ‘কবিতার কালিমাটি’, ‘কালিমাটির ঝুরোগল্প’, ‘কালিমাটির কথনবিশ্ব’ যা আজও বলতে চাইছে। বাঁক বদলের ডিসকোর্সের নিজস্ব পরিসর প্রত্যেকে নির্মাণ করে চলেছেন। কে কতটা সচেষ্ট সে বিষয়ে পরষ্পরের সৃষ্টিকর্মকে মর্যাদা দিচ্ছেন। এভাবেই ‘কালিমাটি’, ‘কৌরব’, ‘বাক’, ‘ক্ষেপচুরিয়ান্স’, ‘পরবাস’, ‘সৃষ্টি’, ‘আদরের নৌকা’, ‘জয়ঢাক’, ‘গুরুচন্ডালী’, ‘জার্নি 90s’ ইত্যাদি সাম্প্রতিকতম যাঁরা, তাঁরা প্রত্যেকেই এই উত্তরাধিকারের অভিমুখ। ডিসকোর্সের নবীনতম বাঁক বদলের দিশারী, নিত্য নতুন ক্যারিশমার বিহিত।
এমন কী যাঁরা হাংরি আন্দোলনে ছিলেন, আবার হাংরি আন্দোলন থেকে বেরিয়ে গেছেন, অর্থাৎ যাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এই উত্তরাধিকারকে পরবর্তী ক্রমে মান্য করেছেন। যেমন উৎপলকুমার বসু বা সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রিয় কবি ও গদ্যকার। এই সংক্রমণ থেকে কারও রেহাই নেই। আর এখানেই হাংরি আন্দোলনের সার্থকতা। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে হাংরি আন্দোলনের দ্বিতীয় খন্ড। সেখানে এই বিষয়গুলিকে অনেক বিশদে তুলে ধরা হয়েছে। কেননা আদতে উত্তর ঔপনিবেশিক ডিসকোর্সের প্রধান লক্ষ্মণ থেকেছে ঔপনিবেশিক আধুনিকতা থেকে বেরিয়ে আসা। কেননা স্বাধীনোত্তর পর্বে আত্মবিচ্ছেদের চিহ্নগুলি রাতারাতি মুছে যায়নি। তাছাড়া আধুনিকতা থেকে বেরিয়ে এসে ডিসকোর্সের বাঁক বদলের মাধ্যমে যে নতুন পরিসর অর্জিত হয়ে চলেছে, তার নামকরণ করতে গিয়ে অধুনান্তিকতা, নতুন কবিতা ইত্যাদি নানা শব্দে সেই বাঁক বদলের প্রসঙ্গকেই নানা ভাবে ব্যক্ত করে চলেছে।
সমীর রায়চৌধুরী
১৯৬১ থেকে ১৯৬৫, এই পাঁচ বছর ভয়ংকর প্রতিরোধের মুখোমুখি হাংরি আন্দোলন ঘটে। অথচ আজও এই আন্দোলনের প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসে, অর্থাৎ তার উত্তরাধিকারের জের আজও সক্রিয়। হাংরি আন্দোলনকারীরা প্রচলিত মেইন স্ট্রিম ধারা থেকে সরে এসে উত্তর ঔপনিবেশিক পর্বে প্যারাডিম শিফট্ ডিসকোর্সের বাঁক বদলের প্রসঙ্গ তোলেন এবং নিজেদের টেক্সটে তুলে ধরেন। বাঁক বদলের ডিসকোর্স।
আজও মেইন স্ট্রিমের বাইরে এই ধরনের ডিসকোর্সকে যাঁরা গুরুত্ব দেন, তাঁরা মেইন স্ট্রিমের বাইরে থাকতেই পছন্দ করেন। ‘কবিতার কালিমাটি’, ‘কালিমাটির ঝুরোগল্প’, ‘কালিমাটির কথনবিশ্ব’ যা আজও বলতে চাইছে। বাঁক বদলের ডিসকোর্সের নিজস্ব পরিসর প্রত্যেকে নির্মাণ করে চলেছেন। কে কতটা সচেষ্ট সে বিষয়ে পরষ্পরের সৃষ্টিকর্মকে মর্যাদা দিচ্ছেন। এভাবেই ‘কালিমাটি’, ‘কৌরব’, ‘বাক’, ‘ক্ষেপচুরিয়ান্স’, ‘পরবাস’, ‘সৃষ্টি’, ‘আদরের নৌকা’, ‘জয়ঢাক’, ‘গুরুচন্ডালী’, ‘জার্নি 90s’ ইত্যাদি সাম্প্রতিকতম যাঁরা, তাঁরা প্রত্যেকেই এই উত্তরাধিকারের অভিমুখ। ডিসকোর্সের নবীনতম বাঁক বদলের দিশারী, নিত্য নতুন ক্যারিশমার বিহিত।
এমন কী যাঁরা হাংরি আন্দোলনে ছিলেন, আবার হাংরি আন্দোলন থেকে বেরিয়ে গেছেন, অর্থাৎ যাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এই উত্তরাধিকারকে পরবর্তী ক্রমে মান্য করেছেন। যেমন উৎপলকুমার বসু বা সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রিয় কবি ও গদ্যকার। এই সংক্রমণ থেকে কারও রেহাই নেই। আর এখানেই হাংরি আন্দোলনের সার্থকতা। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে হাংরি আন্দোলনের দ্বিতীয় খন্ড। সেখানে এই বিষয়গুলিকে অনেক বিশদে তুলে ধরা হয়েছে। কেননা আদতে উত্তর ঔপনিবেশিক ডিসকোর্সের প্রধান লক্ষ্মণ থেকেছে ঔপনিবেশিক আধুনিকতা থেকে বেরিয়ে আসা। কেননা স্বাধীনোত্তর পর্বে আত্মবিচ্ছেদের চিহ্নগুলি রাতারাতি মুছে যায়নি। তাছাড়া আধুনিকতা থেকে বেরিয়ে এসে ডিসকোর্সের বাঁক বদলের মাধ্যমে যে নতুন পরিসর অর্জিত হয়ে চলেছে, তার নামকরণ করতে গিয়ে অধুনান্তিকতা, নতুন কবিতা ইত্যাদি নানা শব্দে সেই বাঁক বদলের প্রসঙ্গকেই নানা ভাবে ব্যক্ত করে চলেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন