দুটি কবিতা
শুক্তি ঘোষ
সিনড্রোম
পনেরোতে রাগ হতো,
পঁচিশে স্পর্দ্ধা,
পঁয়ত্রিশে পৌঁছে
আর কাউকে গ্রাহ্য করিনি।
এখন পঞ্চান্নয়
শরীর জুড়ে নামছে ভয়!
কী হবে
যদি শিকল খোয়ানো খেঁকি কুকুর
দাঁত বসিয়ে দেয় শরীরের ভাঁজে?
শরীর জুড়ে থৈ থৈ
এখনও যে জেগে রয়েছে
নারীত্বের সামান্য লক্ষণ।
যদিও এখন
স্তন বলতে ক্যান্সার
আর ঊরু বলতে
বাতব্যাধি মনে পড়ে—
কিন্তু এই অন্ধকারে
নিজেকে নিরাপদ মনে করাটা
বোধহয় অস্বাভাবিক,
অত্যন্ত বিপজ্জনক এক সিনড্রোম!
আদ্যন্ত
তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম,
‘সূর্যোদয়ের ছবি আঁকছ,
না সূর্যাস্তের?’
তুমি উত্তর দাওনি।
তোমার তুলির রঙ
রাঙিয়ে দিচ্ছিল সাদা ক্যানভাস,
একটু একটু করে
ফুটে উঠছিল অপরূপ সূর্য!
অথচ অবোধ আমি বুঝতে পারিনি—
তুমি সেদিন শুরুর গল্প বলছিলে,
না শেষের?
শুক্তি ঘোষ
সিনড্রোম
পনেরোতে রাগ হতো,
পঁচিশে স্পর্দ্ধা,
পঁয়ত্রিশে পৌঁছে
আর কাউকে গ্রাহ্য করিনি।
এখন পঞ্চান্নয়
শরীর জুড়ে নামছে ভয়!
কী হবে
যদি শিকল খোয়ানো খেঁকি কুকুর
দাঁত বসিয়ে দেয় শরীরের ভাঁজে?
শরীর জুড়ে থৈ থৈ
এখনও যে জেগে রয়েছে
নারীত্বের সামান্য লক্ষণ।
যদিও এখন
স্তন বলতে ক্যান্সার
আর ঊরু বলতে
বাতব্যাধি মনে পড়ে—
কিন্তু এই অন্ধকারে
নিজেকে নিরাপদ মনে করাটা
বোধহয় অস্বাভাবিক,
অত্যন্ত বিপজ্জনক এক সিনড্রোম!
আদ্যন্ত
তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম,
‘সূর্যোদয়ের ছবি আঁকছ,
না সূর্যাস্তের?’
তুমি উত্তর দাওনি।
তোমার তুলির রঙ
রাঙিয়ে দিচ্ছিল সাদা ক্যানভাস,
একটু একটু করে
ফুটে উঠছিল অপরূপ সূর্য!
অথচ অবোধ আমি বুঝতে পারিনি—
তুমি সেদিন শুরুর গল্প বলছিলে,
না শেষের?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন