ন্যায়
ভূমেন্দ্র গুহ
ন্যায় জিনিসটা যদি কোথাও থেকে থাকে, তা, তাহলে
এখুনি এসে সামনে দাঁড়াক। দেখি, কেমন তার চেহারাটা।
আর যদি এমন হয় যে, আকাশের তলা থেকে আমার শেষ
চিহ্নটুকুও মুছে যাওয়ার পরে সে এসে দেখা দিল, তাতে
আমার কী? তার সিংহাসনটা ইট-পাটকেল ছুঁড়ে চিরতরে
ধ্বংস ক’রে দেওয়া হোক! আর, তুমি, হে উদ্ধত, স্পর্ধিত
ন্যায়, তুমি তোমার নিজের হিংস্রতা সম্বল ক’রে এগোও,
রক্তপাত ও রক্তস্নান নিয়ে মেতে থাকো, আবার সেই
রক্তের ক্ষার দিয়েই ধুয়ে ফ্যালো তোমার পোশাক-আশাক।
আবার সেই লোকটাকে ঘৃণা করি, ঘৃণা করি, ঘৃণা করি
যে-লোকটা বলে প্রতিশোধ নাও অর্থাৎ বদলা নাও! না,
বদলা নেওয়া নয়, বদলা নেওয়ার মানে তো একটা কোলের
শিশুর রক্ত অথবা একজন অশীতিপর বৃদ্ধের রক্ত –-
শয়তানের হুকুম তামিল করা ছাড়া এ-সব আর কী?
যাক, রক্ত চুইয়ে যাক রসাতলের গভীর অতলে; যাক,
রক্ত ভিজিয়ে দিক অন্ধকারের অনিশ্চয় ও স্বরাট রাজ্যের
তন্তুকোষ; এবং সে-সব ক’রে ফেলতে গিয়ে ইঁদুরের
মতো কুটকুট ক’রে চিবিয়ে খাক –- অন্ধকারে –- এই
পৃথিবীর ঘুণে-ধরা সব তত্ত্ব-ঠেকনো ও তত্ত্ব-ভিত্তি।
(আলবেয়া কামু’র জন্মশতবর্ষ, খ্রি. ২০১৩)
ভূমেন্দ্র গুহ
ন্যায় জিনিসটা যদি কোথাও থেকে থাকে, তা, তাহলে
এখুনি এসে সামনে দাঁড়াক। দেখি, কেমন তার চেহারাটা।
আর যদি এমন হয় যে, আকাশের তলা থেকে আমার শেষ
চিহ্নটুকুও মুছে যাওয়ার পরে সে এসে দেখা দিল, তাতে
আমার কী? তার সিংহাসনটা ইট-পাটকেল ছুঁড়ে চিরতরে
ধ্বংস ক’রে দেওয়া হোক! আর, তুমি, হে উদ্ধত, স্পর্ধিত
ন্যায়, তুমি তোমার নিজের হিংস্রতা সম্বল ক’রে এগোও,
রক্তপাত ও রক্তস্নান নিয়ে মেতে থাকো, আবার সেই
রক্তের ক্ষার দিয়েই ধুয়ে ফ্যালো তোমার পোশাক-আশাক।
আবার সেই লোকটাকে ঘৃণা করি, ঘৃণা করি, ঘৃণা করি
যে-লোকটা বলে প্রতিশোধ নাও অর্থাৎ বদলা নাও! না,
বদলা নেওয়া নয়, বদলা নেওয়ার মানে তো একটা কোলের
শিশুর রক্ত অথবা একজন অশীতিপর বৃদ্ধের রক্ত –-
শয়তানের হুকুম তামিল করা ছাড়া এ-সব আর কী?
যাক, রক্ত চুইয়ে যাক রসাতলের গভীর অতলে; যাক,
রক্ত ভিজিয়ে দিক অন্ধকারের অনিশ্চয় ও স্বরাট রাজ্যের
তন্তুকোষ; এবং সে-সব ক’রে ফেলতে গিয়ে ইঁদুরের
মতো কুটকুট ক’রে চিবিয়ে খাক –- অন্ধকারে –- এই
পৃথিবীর ঘুণে-ধরা সব তত্ত্ব-ঠেকনো ও তত্ত্ব-ভিত্তি।
(আলবেয়া কামু’র জন্মশতবর্ষ, খ্রি. ২০১৩)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন