কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / নবম সংখ্যা / ১৩৬

বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

পৌলমী ভট্টাচার্য্য

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৫


কিলার অ্যাজ মি

বাতিঘরের উপরে দাঁড়িয়ে দাবি করছি একাকীত্ব শুধুই আমার। আবিষ্কারক স্বভাবতই স্বার্থের খোঁজে অন্ধকার খুঁড়বে অতএব সার্বিক ব্যর্থতায় কান না দিয়ে ঘটমান জাহাজডুবির কথা ভাবছি। দ্বিতীয় প্রয়াসে ছিল আঃ আঃ নিরাশায় ভেজানো ছোলা; ছড়ালাম : পারফেক্ট ছক্কা।

ধুর, বেতার শুনে কে কবে মাতাল হয়েছে!

টইটুম্বুর জল ওখানে না থাকায় ছক্কাও আমার দোলনায় দোদুল...

পাঁচ মিনিটের হতভাগ্য সময়ের সাথে শেষ মোকাবিলা করছি - এমনটাই বললাম দ্বাররক্ষীকে। ওপরে জরদৌসি নভঃ নীচে স্বর্ণবালুকা। দেবতা বোঝালেন মরার জন্য সবসময় দড়ি নিষ্প্রোয়োজন। বোধে ফিরলাম। নিজেকে চিউইংগাম ভেবে আজ খুনি। আত্মহত্যা কে বলল!

ফুজুল বিলাপ এবং থুতুমাখা বাটখারা

মৌচাক থেকে আমার যন্ত্রণার দূরত্ব যতটা তার থেকে মাছি এবং ঘোড়ার দূরত্ব এক অতিভূজ কম। হয়তো  নজর স্খলনের জন্য গণিতে গণ্ডগোল হয় সবারই তবু ইন্দ্রিয় বৃত্তই একমাত্র যে কখনও পাবলিক প্রসিকিউটারের মাইনে নেয় না।

পঞ্চভূতের পাঁচটি কৌণিক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে এক শতাংশও অনুভব কেউ খরচ করে না কিন্তু আমার নিঃশ্বাসের ওপর চাপানো হয় থুতুমাখা বাটখারা।

ঘোড়াটা সাম্রাজ্যবাদের নীতি শেখেনি অতএব হিসেবে থাকে হ্রেষা + পৌলমী = ফুজুল বিলাপ। মৌচাক থাকে বলেই যন্ত্রণারা পুষ্প বনে পুষ্ট হয় আর দগদগে ঘা-এ আমি সহ্যের পসরা সাজাই।

পাঁচালী

ব্রহ্মাণ্ড যাপনে ইয়ার্রডলি,

অন্তরে আম ডাল এবং

চুমুতে বক আইসক্রিমের প্রতিক্রিয়া পেয়ে

সনাতনি প্রেম লাভ করে ব্রহ্মপ্রাপ্তি তবু গুহ্য জ্ঞানের থালায় পচা ঢেঁড়স দেখলে চুপ থাকে মৃগশিরা।

ডয়সনের বয়েই গ্যাছে...

প্রেম তেজস্বীঅস্তু জেনেও হরিনাম করেন না; করি বলেই তার ভিজে মাথায় রাখি নৈসর্গিক উপাধি।

ঐতরীয় হাসে কন্যার নাভিমূলে, বাড়বাড়ন্ত গ্রীষ্ম জানলও না- উত্তাপ প্রবণিত এলাকার সরগম আমার কাছে অতিপ্রিয় ফলত

মন্ত্র সেবন করি - সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম।

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন