![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৫০ |
অপেক্ষা
ঘরের চামড়া হইতে বাহুল্য এবং আলোর গুচ্ছ গুচ্ছ হলদে হলুদ দ্বিরাগমনে নক্ষত্র নিশ্চিত হইল। তাহার পূর্বে কিঞ্চিৎ খই এবং কিছু শাস্ত্রীয় সুর। সে সন্ধ্যায় অন্ধকার ছিল। অপরাধ ছিল। নিষেধ ছিল। এক আশ্চর্য সুতো ছিল আর সে এক অপার! ডাকিতেছিল। বস্তুত সেই প্রাচীন শব্দাবলির গন্ধ সারাক্ষণ। ক্রন্দনের কোন হেতু নাই, যেহেতু যেহেতু যেহেতু। আমি পথ মাপিতেছিলাম। অপেক্ষা মাপিতেছিলাম। প্রণাম তো আনুষ্ঠানিক মাত্র।
সিম্ফনি
আলোকিত নহে, এমন বসবাস। অথচ ছায়া এবং গ্লাসগুলি ওঠানামা করিতেছে। শব্দ নাই, অথচ ইঙ্গিতে আর্শি কাঁপিতেছে। বন্দুক কি শীতল ছিল? প্রশ্নচিহ্ণে স্বভাবতই সংশয় আসে। রাত্রি আসে। একমাত্র ওই নীল ছোট পাখি ইত্যাকার গূঢ শব্দ শুনিল না। সে তখন স্বপ্নে। একমাত্র বাসার, একমাত্র ডিমের। রাত্রি সে শুনিয়াছিল প্যাঁচার শব্দে, উদ্বেগের জাগরণে। এই পর্যন্ত তাহাদের৷ যাতায়াত ছিল, ফেরা ছিল। আমার পিতা কি এই ষড়যন্ত্রে দূরত্ব মাপিতেছিলেন!
হারানো গন্ধ
এই সেই বাড়ি। ডুবন্ত। অদ্যাবধি যথেষ্ট সাদার অভাব। সন্ধ্যা রসিকতা করে। দুচারটি তারা, সামান্য মেঘ, ইশারায় মহাকাশের স্পৃহা। কতদিন হাঁটি না। মনে পড়ে? কতদিন রেন ট্রি একা। অকুতোভয় বাতাস, ক্ষুধা। আঙুলে আশ্বাস। হাতে আলো। পরিসীমা প্রসঙ্গে ক্ষুধা শব্দটি অশ্লীল হইত না। তুমি তো কিছুই বুঝিলে না! স্তনের ভাঁজসবে অন্ধকার আর ওষ্টে একটু একটু বিকাল। এই অস্পষ্টতা দিলে। আমি আর ভাত ভাবি নাই। প্রভূত এবং হারানো গন্ধে এক নিমগাছ ক্রমে ছোট। রাত্রি এতদূর স্নেহে ছিল। অবিকল্প দ্বিপ্রহরে। সে সব রাত্রে। প্রকৃতই প্রকৃতি, অতিরিক্ত যা কিছু, তাবত আঁকা আছে ওই 'না'-এর চক্ষুঅন্ধকারে। মানুষেরই কীর্তি সে সব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন