![]() |
কবিতার কালিমাটি ১৪৯ |
নোনা জল
একক রসে কোনও একটা কিছু জমে ওঠার মুহূর্তে
ভ্যাস্তা বলে চেঁচিয়ে উঠেছে এক আত্মমুগ্ধ পরিচালক
সমস্ত শলাপরামর্শের সুইচ নিভে যেতেই
এক বাহুর কীর্তিনাশা
সম্বল স্পর্শ পেয়েছে
অন্য বাহুর দৈত্যকুলজাত সংক্রমণের
সমুদ্রতীরে এরপর হয়তো একে একে খুঁজে পাওয়া যাবে
ছড়ানো-ছিটোনো জুতো, ঝিনুক, তোয়ালে, ছাতা, নিস্তব্ধ আহ্বান
ছাইগাদা
আমার ছোটো ঘরটা পাশে আর কিছুতেই বাড়ছে না –
শুধু ছাদটা আরও উঁচুতে উঠে যাচ্ছে
তুলো
দিয়ে ঠাসা রাগী হুলো বেড়ালটা আমাকে বলেছিল – তথ্য সৃষ্টি করে সেই
তথ্য দিয়ে জবাই করতে হয় আরেক তথ্যকে
শখের ইতিহাসবিদকে সেকথা বলতেই সেটা পাচার হয়ে গেল
ধুরন্ধর অভিনেতা ঘুরে হবু অধ্যাপকের থিসিসে
তারপর থেকেই এই অতি-উৎপাদনের চিত্রনাট্য -
আমার ভিজে সকাল ভিজে বিকেল সব গুটিয়ে নিল পাততারি
আমি আর কোনও বাক্য মুছতে পারি না
শুধু রং চাপিয়ে তাকে অন্য চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করি
অথচ ক্ষয় কতো জরুরি !
উল্টো ফুটপাথ
জলে ডুবে থাকতে থাকতে জল এখন হাড়ের ভিতরে
উল্টো ফুটপাথে বৃষ্টি থেমেছে
আর এই ফুটপাথে প্রবল বৃষ্টিতে ফুটহোল্ড পাওয়ার লড়াই
ঘরের ভিতরে বাসাবদল
ঘোলা স্মৃতি চশমার বাইফোকাল কাচে
গয়না, দলিল, কোর্টের শমন পেরিয়ে
বাচ্চার ভাঙা আয়না থেকে ঘরে রোদ্দুর এলে ভাবি
আমাদের শিশুরা কি দমকা হাওয়ায় উড়ে যাবে !
রজনীগন্ধার স্টিক দিয়ে রাতের আকাশ চেনানোর খেলায়
হঠাৎই এসে যায় যত্নের সুড়ঙ্গে ওঠা লিফট
উদ্দাম নাচাগানার ফ্লোর পেরিয়ে আটকে পড়েছে
নম্বরহীন মুক্তাঞ্চলে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন