কবিতার কালিমাটি ১৪৮ |
শিরোনামহীন
(১)
যে-কোনও মানুষের যে-কোনও
সময়
মনে হতে পারে, তার কোথাও
একটা ভুল হচ্ছে, কোনও
একটা ভুল,
হাই-জাম্প প্র্যাক্টিস শেষে
হঠাৎই মনে হতে পারে টিউশনে যেতে হতো
ছাব্বিশ বছর দাম্পত্বের
পর মশারি টাঙাতে-টাঙাতে
ভুল নিয়ে কেলে ও কেলেং
একটা ভুল বা একটু, কিন্তু
হচ্ছে, কোথাও হচ্ছে-দের
সম্মেলন, ভুল-দের ভাষণ
পরিসর নির্বিশেষে ভুল
লন্ডনে মেট্রোর রঙে ভুল
পিংকসিটির হাওয়ামহলে বাতাসে ভুল
জন্মভূমির কাঁকড়চালে দাঁতক্ষেপে ভুল
ভুল আমার পেনসিলে পেনিসে
ভুল আমার সকাল ছ’টা থেকে ইস্তাম্বুলে
আমার ভুলে নাচের স্টেপে ভুল
একটা এবং বহু
যে-কোনও মানুষের ভুল আর
আমার ভুলগুলিতে
তফাৎটাকে বেশি পাত্তা না-দেওয়াই ভালো
(২)
কালবোশেখিগুলো এখনও ভাবছে
ঝাপটা এক-এর পর এক
দুইয়ের জন্য আর সাজবে
কিনা!
সাজাইয়া দাও গো আমায় গর্ভের
মেঘ
গরমে হাঁসফাস সংকুচিত
তরল বাতাস
গাছেরা প্রস্তুত হও, বিশেষত
কুশি আমের মা
তার আগেই লাঠিবৃষ্টি সপাট
ঘামরক্তে
নীল আকাশের নীচে গ্রহীতার
চোখে-মুখে
হালকা গরম বাতাসের একতরফা
কালবোশেখি সেই থেকে ভাবতে
ভাবতে
নিজেই কপালে লাল টিপ পরেছে
ভাবছে একবার বয়ে যাবে
দাতাদের উদ্দেশে
(৩)
ঘাড় ঘোরাবার আগেই চোখ
ঘুরে যায়
জল বয়ে যায়
স্মৃতিনৌকো নেই
স্মৃতি এমন বায়বীয় ঘাড়
ঘোরালেও
ঘুরে দে্খো, পেলে কিছু
মনমতো
ঝাপাবে দাপাবে
দ্রোহে টোয়ে দাঁড়াবে
কী কুঁদে দেখছিলে এমনই
সব গপ্পো
কত রেখা আসে যায় ফ্রি-ছায়ায়
ঘুমায়
চালাক ছায়াটা লুকিয়ে
ফুলঝুরি জ্বালে মিথ্যের
অমাবস্যায় আলো দেবার কথায়
ফুসমন্তর
বেড়াল ডিঙোয় সব রেখা
তপস্বী তারও বেশি, ঘাড়
ঘোরায় না
চোখ তো নয়ই
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন