কবিতার কালিমাটি ১৩৯ |
বিন্দু বিন্দু বীর্যবৃষ্টি
(১)
বাতাসের গন্ধে পুজোর বিভোর
সব হাসপাতাল লাগছে
কেমন যেন এক অবসাদ
অন্ধকারকে কামড়ে উনুন
তবুও সেই উপেক্ষা নৌকোয় ভাসে হালকা
শরীরে রোদের অমোঘ নেশার পাথর
(২)
ভাবলাম আগুনে ঘি ঢেলে
নিজেও সলতে
একযোগে চটির মস্করা
শুনতে শুনতে ফুরিয়ে
কিন্তু কেন এই অবক্ষয়
কেন এই-সময়ের নিদান
কিছুই দরজার ভেতর ঢুকছে না
জানলার বাইরেও ঘুড়ির ইশারা অক্লান্ত
(৩)
আমি কি আমার থেকে অন্ধকারকে ভালবাসি
ভাবতে ভাবতে ধর্ম হাঁটছে
পিচ রাস্তায় উন্নয়নের স্মারক
হাসছে-নিভছে মনের ভিতর
কচুরিপানায় ঢাকা মাছেরা খেলছে
দুপুরের গাধা রাখে-না এসবের খবর
(৪)
স্তব্ধতায় উল্টো করে রাখা কান
গল্পগুলোর দেয়াল চওড়া করছে
ছবির পাশদিয়েই একদল মাছি ডানা শুকোচ্ছে
চোখ আলগা হতেই আলোরাও জুঁইফুল
(৫)
শিকড়গুলো মাটির স্তনে
ঘিলুর অকর্মণ্যতায় ডুবে যাচ্ছে
সূর্যের ডানায় চেটে নেওয়া স্নায়ুর ফুড়ুৎ
কানায় কানায় জলের কলসি
মরদেহের উপর মূদ্রার নটরাজ
বাজনার শরীর বেয়ে ঝাপ দিচ্ছে
(৬)
আলতো করে দেখে নেওয়া লাল থেকে
হালকা গোলাপি
পলকা সুরের বাতাস আগুনের নৌকায়
কিন্তু কোনও কিছুই নিশ্চিত বোঝা যাচ্ছে-না
চুপ থাকাই হয়তো অনেক কোলাহলের সমানুপাত
(৭)
একের মুখের ভাষা অন্যের মুখোশে চিপকে
সে কি আনন্দের না দুঃখের স্টিকার
বুঝতে বুঝতেই সকাল বিকেলের গালে
আমি নিরুপায় জগন্নাথের পায়ে মাথা রাখলাম
(৮)
সাষ্টাঙ্গে ছবিটির চরিত্রটি
আঁকতে চেয়ে নাবিক হয়ে গেল সময়
কিন্তু শিল্পী ডালটিকে কুড়ুলের ভালবাসা শেখাল
সাদাকালো অক্ষরের পাতাগুলো
খূলোবালি সেজে বাজারে
অন্যের চুলোয় জেগে উঠল
(৯)
শিশ্ন থেকে ঝরে পড়ছে মেঘের আল্পনা
রোদের মেহগনি অতল
অতিথিপরায়ণ গাছের সংসারে
মায়ামোহ বৃষ্টির মেখলা
(১০)
সরল ইস্পাতের ঠোঁট নকল করে ছবিটির বিন্দু
পাশের স্তনে নদীর চোখ ভাসে
নৌকোটির ক্লান্তির দোলা
মাঝির পাটাতনে মায়ার-কাঠ
যে দিকেই হাতছানি বাড়াই— অবুঝ
সরল সিন্ধু থেকেই ঠোঁটের ইস্পাত গড়িয়ে নামছে
খুবই ভালো লাগলো কবিতাগুলো। প্রতিবাদী এইসব কবিতা বেশি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছালে হয়তো আলোর কিরণ দেখতে পাওয়া যাবে একদিন।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনভীষণ ভালো কবিতা। সারকাস্টিক। বরফে আগুন ধরানো শব্দের ব্যবহার। একদিন এই দেশ কাল কবিতাময় হয়ে উঠবে।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুন