কবিতার কালিমাটি ১৩৯ |
জলক্ষমা
ক্ষমার অমৃত নিয়ে জল আসে প্রতিদিন
জল আজ প্রাত্যহিকি
চারদিক মিথ্যে হয়ে আসে
যখন জলের শোক
অনায়াসে মিশে যায় শোণিতে তোমার
তারপর অনুগ্রাহী অপমান নিয়ে
বৃথা বৃষ্টি প্লাবন হয়েছে
প্রলাপ জলের মতো পাড় ভেঙে আসে, আর
নিহিত রাতের নীচে
কারা যেন ওত পেতে থাকে
মেঘের আড়ালে কিংবা নখর মিছিলে।
আহত বৃষ্টির মতো
জীবনের ধ্বনিগুলো আজ
রাতভর পাহাড় পেরিয়ে
অতিরিক্ত ইচ্ছে ও ক্লান্তি নিয়ে
এইখানে শুয়ে থাকে
তোমাদের হৃদয়ের পাশে
তুমি কি তাদের স্পর্শ করো?
নাকি দূর থেকে দেখো
আহত বৃষ্টির মতো
কাঁদাজল মাখামাখি, আর
শালুকের শিকড়ের মতো
দূরে থাকো খুব বেশি
জলের আঁধার ও গভীরে।
আমাদের সঙ্গবিবেচনা
যেহেতু বিষাক্ত হলো
তোমার আমার সঙ্গ
বিবেচনা অসুস্থ পীড়ন
যেহেতু পূর্ণিমা আর
হবে না তোমার স্পর্শে
সেহেতু আবার হোক
কবন্ধ সরীসৃপের
উদণ্ড মিলন
আমি ভয়ানক হয়ে আসি
তোমার উঠোনে
পঙ্গু ও বধির প্রায়
খাদ্যহীন ফিবছর
আমাকে দেখছে সব
বিরক্ত উৎসবে
তোমার আস্তিনে থাক
পরপুরুষের ঘ্রাণ
অথবা বিরক্ত ভ্রূণ
অথবা জলের অশ্রু
অথবা সময়জাত
পরিহাস রেখা,
আর থাক প্রেতকূলে
অন্ধকারে বৃষ্টিপণ্য
বিপন্ন উৎসব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন