কবিতার কালিমাটি ১৩৭ |
মোম গলছে
সেদিন যখন আলতো করে আমার ডানায়
আদর মাখা অভিমানের স্পর্শ দিলে
সেই দুপুরে জীবন তখন শীতলপাটি
ফুরফুরিয়ে চলল উড়ে আকাশ পথে।
ভারচুয়ালি ফেসবুকে না, ঠোঁটের পাশে
উষ্ণ তোমার স্পর্শ পেয়ে পাগল পাগল
নাছোড়বান্দা তোমাকে আর কীই বা বলি?
হ্যাঁ হ্যাঁ তুমি সব লুটে নাও সব লুটে নাও।
ধকধকিয়ে উঠল জ্বলে বহ্নিশিখা
মোম গলছে, মোম গলছে শরীর জুড়ে!
মৃত্যু
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কনডেনসারের মতো
পার্থিব জীবনে মৃত্যুও এক খুব প্রয়োজনীয় ক্ষতি।
নতুন মুখের শিশু, টাটকা গোলাপ
কিছুই থাকত না, মৃত্যু না থাকলে।
মৃত্যু না থাকলে আজ পৃথিবীটা ভরে যেত
বৃদ্ধ বৃদ্ধায় আর বৃদ্ধাশ্রমে।
রাত
জেগে বসে আছি রাত দুপুরে একলা। গোটা পৃথিবীটা ঘুমে
আকাশে জ্বলছে অনেক তারার মেলা, কেউ কেউ চ্যাট রুমে
সম্পর্ক তৈরিতে এখনও ভীষণ ব্যস্ত। ওড়ে রাত চড়া
পাখি
শাল পিয়ালের ঘুম ঘুম ভেজা ডালে। কবিতায় লিখে রাখি
ছলাৎ -ছলাৎ শব্দে নদীটা এগোয়, সাগরের অভিসারে
পাহাড়
চূড়াটা একা একা জেগে থাকে এ রাতের অন্ধকারে
লাজুক চাঁদটা গাঁয়ের বধূর মত ঘোমটায় মুখ ঢাকে
দু একটা পাতা খসে যায় চুপিসারে, কেই বা হিসাব রাখে?
বনের গভীরে নিশাচর ছুটে যায়, রাতের শিশির ঝরে
খুব মমতায় পৃথিবীর সারা গায়ে। মনে পড়ে মনে পড়ে
হারানো সেসব বাঁধাবাঁধি করে বাঁচা, সুরে সুরে বাঁধা
তার
গভীর-গভীর অজানা অলীক দেশে প্রেম ভরা অভিসার...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন