কবিতার কালিমাটি ১৩৭ |
প্রতিশোধ
আসন্ন ঝড়ের বিষণ্ণ মেঘের
আকাশের বুকে জমে ওঠা ক্লেদ-
বজ্রের চোখরাঙানি আর বিজলীর দ্যুতিতে
ঝড়ের উন্মত্ততা আর বৃষ্টির
প্রবল আক্রোশে ফেটে পড়া...
শুরু হয়ে গেছে প্রকৃতির প্রতিশোধ!
দীর্ঘদিনের কষ্ট দুঃখ
অবারিত জলের স্রোতে ভেসে
রূপান্তরিত হয় কান্নায়!
আর অবাধ্যতা, ঔদ্ধত্য অহংকার
মিশে সৃষ্টি হয় অত্যাচারের।
আর ঠিক তখনই নেমে আসে
মহাকালের অমোঘ অস্ত্র।
ধূসর পৃথিবীর ঊষর মাটিতে
ধূসর পৃথিবীর ঊষর মাটিতে
হাঁটতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লাম।
মাটির সোঁদা গন্ধ মনে করিয়ে দিল-
ভগ্নপ্রায় পৃথিবীর ক্ষয়িষ্ণু ইতিহাস।
জীবনের ব্যাস এঁকে জরিপ করতে থাকি!
জ্যা টেনে সমাধানের অপেক্ষায় রইলাম।
নিঝুম রাতের গোপন নিস্তব্ধতার খোঁজে,
আমার জীবন-বৃত্তের পরিসীমা মাপতে থাকি।
ক্ষয়িষ্ণু সমাজ
কংক্রিট মন, চলন্ত রাস্তায় মিশে
হয়ে গেছে ব্যর্থ যন্ত্রণার গোঁঙানি-
যখন আঁধারে ঢেকে যাওয়া ক্ষয়িষ্ণু সমাজ
বয়ে নিয়ে চলে বিষাক্ত বাতাস!
প্রাচীন সভ্যতার ঘুণধরা প্রাচীরে
যেখানে দাঁত ফোটায় বর্বরতার কালিমা-
উর্বতার জমিতে মানবতার ভূমিতে,
সূর্য মুখ ঢাকে আদিম লজ্জায়।
পরিচয়হীন
লোলুপ চাহনির লেলিহান শিখায়
খাক হয়ে যায় সভ্যতার মানবতা
নগ্নতার ঢেউয়ে মিশে যায়
কদর্যতার বীভৎস নৃশংসতা।
উন্মত্ত সহবাসের তীব্র উত্তাপে
জন্ম নেয় কত বেজন্মা শিশু-
পরিচয়হীন নগ্নতার সামাজিক ধর্ষণে
ওরা বেড়ে ওঠে নিরাপত্তাহীন কাঠামোয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন