সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪

রোমেনা আফরোজ

 

নারী ও যৌনতা




আমার আজকের বক্তব্যের বিষয় হলো যৌনতা। এই জৈবিক কর্মকাণ্ডের সাথে প্রজনন এবং আনন্দ দুটো বিষয় নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। এ দুটির একটি অনুপস্থিত থাকলে যৌনতার মূল উদ্দেশ্য হারিয়ে যায়। বর্তমানে আমরা এমন এক অস্থির সময়ে বসবাস করছি, যেখানে যৌনতা বললে অনেক ধরনের ক্রিয়াকলাপের কথা মনোদয় হয়। যেহেতু মানুষ সামাজিক জীব এবং প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাই যৌনতার ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক সম্পর্ক চূড়ান্ত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এই যুক্তি শুধু যে পরম্পরা বা সময়ের সাথে সম্পর্কিত, তা নয়। আমার ধারণা, অন্য কোনো যৌন সম্পর্ককে বৈধতা দিতে গেলে থেমে যাবে সভ্যতার বিকাশ। সৃষ্টি হবে না নতুন কোনো প্রাণ।

মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব এবং বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি আমলে নিলেও সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে বৈপরীত্য সৃষ্টি করে এমন কোনোকিছু করা একেবারেই অযৌক্তিক হবে। একটা সমাজে বসবাস করতে গেলে সামগ্রিক স্বার্থে সবাইকে কিছু ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিতে হয়, তা না হলে সমাজ এবং সভ্যতার ধ্বংস অনিবার্য। আমাদের চারপাশের প্রতিটি বস্তুর মধ্যে একটা প্রাকৃতিক নিয়ম-শৃঙ্খলা বিদ্যমান আছে। যেমন, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে; দিনের পর রাত আসে ইত্যাদি। সাধারণত মানুষ ব্যক্তিস্বার্থে প্রাকৃতিক নিয়মের উলঙ্ঘন করে থাকে। অতঃপর পুঁজিবাদ সেসব পদক্ষেপকে নিজস্বার্থে ব্যবহার করে কিংবা তারা মনস্তাত্ত্বিক কৌশল অবলম্বন করে এমনভাবে যে, সাধারণ মানুষ তাদের ফাঁদে পা দিতে বাধ্য হয়। সমকামিতা, লেসবিয়ানিজম ইত্যাদি তেমনি রাজনৈতিক বিষয়। পুঁজিবাদ নিজস্ব পথ কায়েম করার জন্য অনেক ব্যক্তিগত বিষয়কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে; যেমন, যৌনতা। পারিবারিক বিষয়কে দাঁড় করিয়েছে কাঠগড়ায়, যেমন, সম্পর্ক। সমাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ দিয়ে। কিন্তু ব্যক্তিগত উপভোগ ছাড়া এসব যৌনকর্মের সামাজিক উপযোগিতা নেই। ভিন্ন সংস্কৃতিতে প্রেক্ষাপট ভিন্ন হয়ে থাকে, তাই আমরা যদি বাঙালি  সংস্কৃতিতে বিরাজমান বাস্তবতার নিরিখে যৌনতা নিয়ে কথা বলি, তবে ‘নারী ও যৌনতা’ বিষয়টি যুক্তিযুক্ত এবং সুনির্দিষ্ট হবে।

(১)

মানুষের বিনোদন লাভের অনেকগুলো উপায়ের মধ্যে জ্ঞানার্জন হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট উপায়। তবে জ্ঞান হল নদীর মত। এর প্রবাহ থেমে গেলেই সচেতন মনের মৃত্যু ঘটে। বস্তুত যেখানে জ্ঞান নেই সেখানে জীবন বা যৌনতা কোনোটাই উপভোগ করা যায় না। মানুষের মধ্যে জ্ঞান নতুন অনুভূতির জন্ম দেয় আর নতুন অনুভূতি মানুষকে নতুন অভিজ্ঞতার দিকে নিয়ে যায়। মানুষ যখনি জ্ঞান ছাড়া অন্য কোনো সেকেন্ডারি বিষয়কে মূখ্য হিসেবে গ্রহণ করবে, তখনি জীবন হয়ে উঠবে একঘেয়ে, গুরুত্ব হারাবে জীবনদর্শন। বর্তমানে মানুষের শিক্ষাদীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো, বিয়ে-শাদী এবং ক্যারিয়ার। এই কারণে পু্রুষের অন্যতম বিনোদন হয়ে উঠছে যৌনতা। বস্তুত জ্ঞানার্জন ছাড়া অন্য কোনো জাগতিক বিষয়ে বেশি আসক্ত হয়ে পড়লে তা অন্ধত্ব তৈরি করে। এই অন্ধত্বের দরুণ পুরুষসমাজ নারীদেরকে বাদ দিয়ে যৌনতা উপভোগে লিপ্ত হয়। কিন্তু সঙ্গিকে অচেতন কিংবা নিষ্ক্রিয় রেখে তারাও যৌনকর্ম পুরোপুরি উপভোগ করতে পারে না। এদিকে বাঙালি নারীর মধ্যে জ্ঞানস্পৃহা কম। তারা সংসারকে অধিক মূল্য দিয়ে থাকেন। তাদের বেশিরভাগ সময় কাটে রান্নাঘরে। যার ফলে তাদের মধ্যে কৌতূহল নেই, নিজস্ব জগত নেই। সৌন্দর্য এবং শরীরচর্চার অভাবে খুব দ্রুত বয়সের ছাপও পড়ে যায়। এজন্য পুরুষসমাজ তাদেরকে নিম্নশ্রেণির গণ্য করে উপাদান সামগ্রীর মত ব্যবহার করার সুযোগ পায়।  বস্তুত যৌনশিল্পে দম্পতি যত বেশি সামগ্রিক হবে তারা তত বেশি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য  অর্জনে পারঙ্গম হবে। এতে সমাজ এবং প্রজন্ম হবে শক্তিশালী।

(২)

বাঙালি নারী খুব কমই যৌনজীবন উপভোগ করতে পারে। এর হেতু শুধু পারিবারিক নয়, সামাজিকও। হুমায়ুন আজাদ ‘নারী ও তার বিধাতা’ নামক প্রবন্ধে বলেছেন, ‘মেয়েমানুষ, মেয়েলোক, মেয়েছেলে বললে একটি স্ত্রীলিঙ্গ পশু বোঝায়।’ যদি শিক্ষিত সমাজই নারীর প্রতি এমন অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে, তবে সাধারণ পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে তা কল্পনা করা মোটেও কঠিন নয়। এটা ঠিক যে, নারী এবং পুরুষের মধ্যে পার্থক্য আছে। যেমন, নারীর মধ্যে একজোড়া এক্স ক্রোমোজম আছে। তাকে মাসিক চক্রের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সে সন্তান ধারণ করে। তার অনুভূতির কম্পার্টমেন্ট তুলনামূলকভাবে প্রশস্ত ইত্যাদি। কিন্তু নারী-পুরুষের মধ্যে কে মহান, কে ক্ষুদ্র এই বিষয়গুলো বস্তুজগতে অপ্রাসঙ্গিক। কারণ আমাদের বস্তুজগত যাবতীয় বস্তুর সমন্বয়েই গঠিত। বস্তুজগতে একটা প্রাণী কিংবা একটা উদ্ভিদের বিলুপ্তি মানে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়া। সে হিসেবে নারী-পুরুষের মধ্যে যতই পার্থক্য থাকুক না কেন তবুও নারী প্রজাতিকে বাদ দিয়ে মানবজগত এবং বস্তুজগত সম্পূর্ণ নয়। আবার আলাদাভাবে পুরুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার বিপদও আছে। এই পার্থক্যকে বৈধতা দিতে গেলে পৃথিবীর যাবতীয় বর্ণবাদ, শ্রেণি-বৈষম্যকেও বৈধতা দিতে হবে। একসময় সুপিরিওর কমপ্লেক্সিটি (Superior Complexity) থেকে ইউরোপিয়ানরা সারা পৃথিবীকে শোষণ করেছে। বর্তমানে যে ইহুদি অ্যামিরিকানরা পুরো পৃথিবীকে শাসন করার  জন্য তাদের ক্ষমতার জাল ক্রমেই বিস্তার করছে, তার উৎপত্তিস্থলও একই মানসিকতা। আর পার্থক্যের বিষয়টি মাথায় রেখে যদি নারী-পুরুষ যৌনকর্মে লিপ্ত হয়, তবে যৌনতা কখনোই শিল্প হয়ে উঠবে না, বরং তা হয়ে উঠবে নিছক আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্র। যেখানে আধিপত্যের প্রসঙ্গ জড়িত, সেখানে যাবতীয় সুবিধা উপভোগ করে শক্তিশালী অংশ। যেমন রাজনীতিতে সমস্ত ক্ষমতা উপভোগ করে আমেরিকান ইহুদিরা।

(৩)

বাঙালি সমাজে সবসময় পুরুষদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। তারা পড়াশোনা করে বেশি; যখন-তখন চৌকাঠ ডিঙাতে পারে। পুরুষদের দাপট এত বেশি যে, তারা কারণে-অকারণে নারীকে শারীরিক নির্যাতনও করতে পারে। প্রতি পদে পদে নারীকে বোঝানো হয়, তারা ভাসমান কচুরিপানার মত, তাদের কোনো বাড়িঘর নেই। এমন কথাও শোনা যায় যে, নারীদের শারীরিক ত্রুটির জন্য তাদেরকে মাসিক চক্রের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। নারী-পুরুষ উভয়ের মুখেমুখে চর্চিত হয়, সোনার আংটি বাঁকাও ভালো। এই যে অবচেতনভাবে নারীরা পুরুষসমাজের সমর্থনমূলক বাক্য আউড়ে যায়, তার কারণ, তারা শারীরিক এবং মানসিক দু’ভাবেই নিয়ন্ত্রিত হয়।

এখনো বাঙালি পুরুষের প্রত্যাশার আরম্ভ হয় একজন ফর্সা এবং সুন্দরী নারীকে কল্পনা করে। বিয়ের ক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হয় অধিক শিক্ষিত নারীদের। পুঁজিবাদীরা যেমন উপনিবেশ স্থাপনের জন্য দুর্বল দেশ বেছে নেয়, পুরুষরাও তেমনি জীবনসঙ্গী হিসেবে দুর্বল নারীকে মনোনীত করেন। সমাজ এবং সংস্কৃতির এই চিত্র দেখতে দেখতে নারীর অবচেতন মনে ঢুকে যায় যে, তারা ক্ষুদ্র, পুরুষের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ। যাদের সামাজিক গুরুত্ব কম তাদের যৌনতার মত একটা সেনসেটিভ বিষয়ে উপভোগের অধিকার কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। নারীর মনস্তত্ত্বে বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই প্রবেশ করানো হয়, যৌনতা গোপন বিষয়, যৌনতা নিয়ে কথা বলা পাপ ইত্যাদি। তাই বিয়ের পর স্বামীর সাথে এ নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকে না। নারী ভালো করেই জানে, যৌনতা নিয়ে কথা বলতে গেলে চরিত্রহীন তকমা লেগে যেতে পারে। মানসিক দূরত্ব বজায় রেখে সংসার করা সম্ভব হলেও যৌনতা উদযাপন করা যায় না। তাছাড়া বেশিরভাগ পুরুষ নারীর উপভোগের বিষয়টিকে গুরুত্বও দেন না। পুরুষ যদি তার পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা বজায় রাখে কিংবা নারী যদি তার দুর্বল মানসিকতা থেকে সরে না দাঁড়ায়, তবে যৌনক্রিয়ার ক্ষেত্রে দুপক্ষই বঞ্চিত হবে। এক্ষেত্রে বাঙালি নারী যে বঞ্চিতজন, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা শুধু লোকলজ্জার ভয়ে বঞ্চনার শব্দ তোলে না।  সামাজিকভাবে অবমূল্যায়নের কারণে মনস্তাত্ত্বিকভাবেও নারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব তৈরি হয়।  মূলত অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার  চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক দুর্বলতা নারীকে বেশি পীড়া দেয়।

নারী কখনো প্রেমিকা, কখনো স্ত্রী, কখনো মমতাময়ী মা। আবার প্রতিবাদের সময়  নারী হয়ে উঠে অগ্নি। নারীত্ব এবং মাতৃত্ব ইত্যাদি গুণাবলী হচ্ছে শক্তির এক একটা রূপ। এসব শক্তির চর্চা না করতে করতে একসময় নারীর মানসিক শক্তির মৃত্যু ঘটে। তখন নারীরা শুধুমাত্র কোমলতার জালে বন্দী হয়ে যায়। কিন্তু সাংস্কৃতিকভাবে বাঙালি পুরুষের মধ্যে পুরুষ ভিন্ন অন্য কোনো রূপ নেই। এসব বৈশিষ্ট্য সহজাত বলে তাদের মন-মস্তিষ্কে আমূলভাবে গেঁথে দেওয়া হয়। অথচ বিভিন্ন চর্চার মাধ্যমে যে মানুষের অনুভূতি মেরামত করা যায়, তা অজ্ঞাত দেখে পারিবারিক এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনের সময়ও পুরুষ তার সত্তার নিকটবর্তী থাকে। তাই বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে পুরুষালী স্বভাবের পরিবর্তন না করতে পারলে জটিলতা বাড়তেই থাকবে।

একটা গ্রীকদর্শন আছে, নো দাইসেলফ। এর মধ্য দিয়েই সূত্রপাত হয় দর্শনের জগত। মানবজাতির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত, নিজেকে জানা। একমাত্র দর্শনই মানুষকে তার অপার শক্তি সম্পর্কে সচেতন করতে পারে। তখন কোথায়, কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে নারীর মানসিক জগত শক্তিশালী হবে, তার একটা দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে। 

(৪)

আধিপত্যবাদী বলে বিষম যৌন সম্পর্ককে নারীবাদীরা অস্বীকার করতে পারেন, তাদের যুক্তি দর্শনচর্চার বিষয়ও হয়ে উঠতে পারে। তবে প্রজননের বিষয়টি মাথায় রাখলে এই সম্পর্ক সবচেয়ে নিরাপদ। যদি পুরুষসমাজ নিজস্বার্থে আধিপত্যবাদী হয়ে উঠে কিংবা নারী প্রজাতি সহযাত্রী না হয়ে দাসবৃত্তি পালনে ব্রত হয়, তবে তার দায়ভার শুধু পুরুষতান্ত্রিক সমাজের একার নয়, এখানে নারীরও ভূমিকা আছে। বিষয়টি অস্বীকার করতে গেলে  বাদ হয়ে যায় নারীর বুদ্ধিমত্তার দিকটি। যেভাবে নারীবাদীরা  নারীর অধিকারকে একতরফা গুরুত্ব দিয়ে যৌনতাকে ব্যক্তি পর্যায়ের ভোগবিলাসের দিকে নিয়ে গেছেন, একটা সমাজে বাস করতে গেলে তেমন ভাবার সুযোগ নেই। আমাদের বুঝতে হবে, যৌনতা একক শিল্প নয়। দুজন মানুষের সামগ্রিক অংশগ্রহণে এই শিল্প মূর্ত হয়ে উঠে।  মহান শিল্পের কারিগর হওয়ার নিমিত্তে একজন অপরজনকে সাহায্য করবে, পথ প্রদর্শন করবে, সেটাই স্বাভাবিক। যখন নারীবাদ কিংবা পুরুষতন্ত্র যৌনতাকে কর্তৃত্বের ক্ষেত্র মনে করবে, তখন যৌনতা তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারাবে, হারাবে দর্শন। 

 

(৫)

আমার লেখালেখির সূচনা ছিল কবিতা দিয়ে। তখন কলম চলেছে কলমের মত। যখন লেখালেখিকে মনের অনুরাগ এবং শব্দ দিয়ে সাজাতে চেয়েছি, তখন বই হাতে তুলে নিতে হয়েছে। অনেকটা সময় যাপন করতে হয়েছে ভাবের মধ্যে। এই পথ চলতে চলতে আমার বয়স বেড়েছে, পাল্টে গেছে লেখার ধরণ, অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বেড়েছে। তখন জীবন উপভোগের বিষয়টি হয়েছে শৈল্পিক। এসব কথা বলার কারণ, যেকোনো বিষয়কে উপভোগ করতে হলে তা সম্পর্কে জানা এবং চর্চা করা প্রয়োজন।

একটু খেয়াল করলে দেখবেন, মাঝে মধ্যে আমাদের গৃহস্থালি জিনিসপত্র পরিবর্তন করা হয়, পাল্টানো হয় পর্দা। এক যুগে একবার হলেও ঘরের দেয়ালে রঙ লাগে। অথচ সম্পর্কের মধ্যেও যে পরিবর্তন আবশ্যক, সেই বিষয়টা আমরা ভুলে যাই। তাই একে-অপরকে সময় দেওয়া, মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়া, উপহার দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তারচেয়েও আবশ্যক নারীর শরীর এবং মনের যত্ন।  


1 টি মন্তব্য: