তিন কবির চেতনায় নারী : কখনোও ধূসর রঙের বিকেল, কখনোও আত্মবিশ্বাসী
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর গানের কথায়
বলেছিলেন, 'তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সেকি মোর অপরাধ'... এই সৌন্দর্য শুধুমাত্র
নারীকেন্দ্রিক নয়, যা কিছু সুন্দর, সেই সৌন্দর্যের ব্যক্তিত্ব, প্রতিভা বরাবরই কাজী
নজরুল ইসলামকে প্রভাবিত করেছে। নারীর সৌন্দর্য, তবে শুধুমাত্র দৈহিক সৌন্দর্যই নয,
নারীর অন্তরে যে গভীর সৌন্দর্য আছে, তা আবিষ্কার করেছেন নানাভাবে। কবিতায়, গানে, রচনায়।
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর। অন্যায়
অসাম্য ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে নারীকে জাগাতে
চেয়েছিলেন তিনি।
চেয়েছিলেন নারী জেগে উঠুক আপন
মহিমায়, আপন শক্তিতে। নারীর ব্যক্তিত্ব তাকে বরাবরই আকৃষ্ট করত।
“জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা
জাগো স্বাহা সীমান্তে রক্তটিকা
দিকে দিকে ফেলি তবু লেলিহান বসনা,
নেচে চল অনুমোদিনে নিরব বসনা
জাগো হতভাগিনী ধর্ষিতা নাগিনী"...
নারীই পারে এক সম্ভাবনামায় জগৎ তৈরি করতে। বিশ্বকে বদলে দিতে। জীবনের পাদপ্রদীপ জ্বেলে দিতে। এই সম্ভাবনাময় জগত দেখেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং। তিনি বলেছিলেন, "নজরুল নিজেই বসন্ত। যে সে বসন্ত নয়। জাতির জীবনের বসন্ত। রোমান্টিক কবি মানসের এক প্রত্যক্ষ প্রমাণ ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
নারী জাগরণের কথা বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। যে সময় নারীর অধিকার অনেকটাই অকল্পনীয়, ভাবনার অতীত, সেই সময়ে নারীকে তিনি তুলে নিয়ে এসেছিলেন লেখনীর কেন্দ্রীয় চরিত্রে। উপস্থাপন করেছেন স্বাধীনচেতা, সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন এক সাহসী হিসেবে।
বহুপদীর কল্পনায় নারী এক রহস্য
মহিলা সময়ে মোহময় ক্যানভাস যাকে ঘিরে বা মাধ্যম করে রচিত হয়েছে হাজার কবিতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন