বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

শম্পা ঘোষ

 

কবিতার কালিমাটি ১৩৪


বৃষ্টি

 

বৃষ্টি তুমি কেঁদো না আর

শ্রাবণের অঙ্গীকারে যে স্তিমিত ধারা রয়ে গেছে বাকি,

উৎস মুখে তা ফিরবেই একদিন

জলের উৎস ছুঁয়ে যায় আবেগকে হৃদয় ভেজে,

ভেজে না চোখ,

আকাশের মতো নীরব দর্শকের

বুকে জমে থাকে এলোমেলো মেঘ

হৃদয় চূর্ণ করা সেই বৃষ্টি ধারা

আসলে মেঘেরই অস্তিত্বের প্রমাণ।

এলোমেলো ঝাপটাই খেই হারাতে ব্যস্ত আলাপন

তাই বৃষ্টির দিন ফিরে এসো তুমি বারবার।

 

ভালোবাসা

 

লক্ষ লক্ষ ক্ষত ফুটে গড়ে ওঠে ভালোবাসা,

বিশ্বাস করতে চাই জল তরঙ্গের অনুচ্ছেদ

অভিমান জমা হয় নিষ্ঠুর অবক্ষয়ে,

চলে যেতে চাইলে তার কোন অজুহাত হয় না

তবে যাবার আগে অন্তত বুঝিয়ে দিয়ে যাও

যন্ত্রণার তিল তিল করে গড়ে ওঠা তুমির মধ্যে

শুধুমাত্র ভাবনা ছিল এ কথা সত্যি বুঝেছিলে তুমি

মৃতরা শূন্যরাজের পথ ধরে হারিয়ে যায়,

বস্তুগত হাতছানিতে তোমাতেই বাড়াতে হয়

তুই এক টুকরো ঝুরঝুরে আবেগ বন্দির ইতিহাস

কেই বা জানে সময়ের ব্যাধিতে সত্যি বলে কে?

স্মৃতিচিহ্নের ফোকাসে প্রতিটি তৈরি হয়

মোহনার নতুন হাতছানি,

আমি নির্দোষ হতে চাই প্রদোষ ভালোবাসায়,

হারিয়ে গিয়েও বাতাসে পাতা নড়ার আর ইঙ্গিত

পৃথিবী কেঁপে ওঠে ভালবাসি শব্দের নিরন্ন মনযাপনে।

 

কানাকানি

 

কখনোই আর ফিরবে না এ কথাটা মনে হতেই

বুকের ভেতর কিরকম খাঁ খাঁ,

অবিকৃত প্রেমে অধিকৃত বখাটে আবেগ

আমি নিশ্চয় ক্ষণে অনেক কানাকানি শুনি,

বিশুদ্ধ অস্থিমজ্জার উপর একটা হালকা

উড়নি উড়িয়ে দিতে দিতে আয়নায় মুখ ঢাকি,

অনধিকার আলিঙ্গনে স্পন্দনের আভাস

সন্ধ্যাকালে  জ্বলন্ত পরাগ,

অস্পষ্ট হলে চাঁদ, ব্যথাকে আরও বেশি করে ভালবাসতে ইচ্ছা করে,

বিমূঢ় প্রেমিকের নিরবতার ভাষা থাকে শুধু

বিশেষণ খুঁজতে খুঁজতে গভীর খাত থেকে উঠে আসি পরস্পরের দুনিয়াদারিতে,

চিৎকার করে কেউ বলতে থাকে-

নগ্ন ঢেউয়ের সাথে খেলা করো, কিন্তু সমুদ্রে নেমো না।

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন