কবিতার কালিমাটি ১৩৪ |
মিশ্রকেশীর কাছে যেতে চাই
পরিবর্তন সহজেই দৃষ্টিগ্রাহ্য হয় যখন সর্ষেখেতে
খরগোশ পায়ের নূপুর ফেলে ছোটে না, শেয়ালের হাই থেকে সোনালু ফলের গন্ধ বের হয় না, বিষকাঁটালি
বনের গুইসাপ ফুল্লরার আঙিনা ডিঙিয়ে যায় না, জমেলা ঝড়ের রাতে আম আর সুপুরির পত্রখোল
কুড়োতে আসে না, রক্তপদ্মের ছায়ার ভেতর মাছের সংকেতভাষা দৃশ্যমান হয় না--এ প্রতিবেশে
কালকেতুর পথে হেঁটে মিশ্রকেশীর কাছে যেতে চাই।
ঈশ্বরী আইসিস
মিশরের দীর্ঘ পথে হেঁটে হেঁটে ঈশ্বরী আইসিস কমলারং
দ্বীপের সৈকতে দাঁড়িয়ে আছেন, সার্কফগাসের ভেতরে দৃশ্যমান হৃদয়বল্লভের খণ্ডিত শরীরে
জাদুবাসনার আশ্চর্য প্রপাত জাগিয়ে তুলেছেন বলে তিনি গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন; তার
জলপাত্রের দিকে আকাশের দৃষ্টি, পবিত্র বাষ্পের সৌরভ আকাশের সমস্ত পথে ছড়িয়ে রাখে কলাপাতার
মন্ত্রিত ঢেউ।
দ্বীপগৃহ
আমরা যে পথে হেঁটেছি তার পাশে ছিলো নোয়ার আঙুরখেত।
টসটসে আঙুরের বর্ণ ও সৌরভ খেতের দৃশ্যের ভেতর ছড়িয়ে দিয়েছে সৌন্দর্যতত্ত্বের নতুন উপকরণ।
আঙুরের রস গেঁজে ওঠার দৃশ্য কল্পনা করতে করতে হারল্যান এস্টেইটের গন্ধে ডুবে যেতে থাকি।
রংধনু বেয়ে ঝরে পড়ে পদ্মরাগ, আমরা দ্বীপের প্রশান্ত গৃহে ফিরে যাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন