কবিতার কালিমাটি ১৩৪ |
সত্যি - জানলা
সবাইকে ভালোবাসতে চায়।
ঘুরঘুরে কুরসি। খুব পছন্দের।
মাঝে মাঝে জানলা
সত্যি হয়ে ওঠার চেষ্টা করে।
স্তব্ধতা চুপচাপ বসে ।
অনুপস্থিত জীবনের আলোয়।
তোমায় আমায় কুড়িয়ে তোলে।
দুলিয়ে দেয় চন্ডালে।
অন্ধকারে রং দিলে।
পাড়ার যাবতীয় আয়না।
জানলা জড়ো করে।
সামান্য এগিয়ে যেতে চায়।
নৈ্ঃশব্দের মহামায়ায়।
নৌকো - জানলা
বিষণ্ন সুতোর আকাশ।
গুনে তুললো নিবিড়।
আলো ভাঙা লেন্স। মুক্তি হয়।
ঠোঁটের কোণে লাগা হাসি।
সন্ধে কখনো ছিল। খোলা চিঠি।
কিভাবে জানলা হলো। --
আজও কেউ বুঝতে পারেনি।
অনেক দিনের ইচ্ছে।
তাকে নিয়ে কেউ আলোর
অচিন লিখুক। তাকে নিয়ে
কেউ আধভাঙা নৌকো লিখুক।
অপেক্ষা আর
হারানো অন্তিম লিখুক।
প্রকাশ - জানলা
কখনো নদী। বেজে ওঠে। কাত
হয়। মাথার মধ্যে। জানলা
এবং আমার মাঝখানে। --
নিরাকার থেকে যায়।
শ্মশান পুড়িয়ে ফিরলে।
সারা পাড়ায়। ত্রিসংসার
ছেটাতে থাকে। কিম্বা মুচকি হাসি।
নিঃশব্দতার কাছে দুঃখ প্রকাশ
করে। কেউ তাকে কোনোদিন
ভালোবাসেনি। লিপস্টিক লাগিয়ে
জানলা পরাবাস্তব হয়।
মানুষের গোপন প্রান্তর হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন