কালিমাটির ঝুরোগল্প ১২৪ |
তরলগড়িয়েঘন
ব্যক্তি একামালিয়ার হওয়া নষ্ট
শরীরকাব্যের পানে তাকানকে কিছু জিরোন দিল। থমকানো সে এক পাথর। একামালিয়ার বেরিয়ে
এসেছে, চোখ দুটো তার কানে কানে বলছে, পাখা বন্ধ হয়ে গেলে মানুষই কবিতা। বর্ণ, অক্ষর,
শব্দ, পংক্তি, বৃত্ত ও তাদের শ্রেণীবিভাগ ছন্দে বিভঙ্গে কীভাবে একামালিয়ার দেহের স্তরে
স্তরে সেটা অনাবৃত লক্ষ্য করে লবণ, পেঁয়াজ
ও লেবু সহযোগে শুকনো রুটি ও মদ খেতে খেতে ব্যক্তি, সুখদেব ও মালব্যেরা ঠুকঠুকি ...
চি-য়া-র্স!
না-হোলদোল ব্যক্তি তখন বলল, চল্ ওকে পেড়ে আনি বিছানায় ঘুম পাড়িয়ে দেয়া যাক। নো প্রব্লেম। S-কে খানিকটা টেনে ইনজিওর্ড করে দিলে বুক ও পাছাটা হয় একামালিয়ার। খুব সন্তর্পণে একামালিয়া পেড়ে এলো মেঝেতে। অতএব এখন তোরা বাজার থেকে ঘুরে আয়। তারপর চিংড়িমাছ দিয়ে ভাপা ইলিশ এবং সন্ধে পর্যন্ত একটা ন'টা ঘুম।
কোরাস বলে কেয়াবাত, কেয়াবাত!
অথচ সুখদেব মালব্যেরা কেউ ফেরেনি আর। আর কি ফিরবে না? দশমীর উপসর্গ কোথাও মিছিল ভাসানো দুর্গার। যেন না কেউ টের পায় সেইভাবে পা টিপে টিপে ব্যক্তি বেরিয়ে যেতে চাইল। ঐ যে, টবের মাটিতে দোতলা ঘুঘু। সেখানে ঘুঘু কি করে, পিঠে চড়ে আর ডিম পাড়ে। সাকিনামলি বলেছিল। অন্তসারিমা তাড়ান দেয়। পুলিশের ধাওয়াগাড়ি ব্যক্তিকে ডাকতে ডাকতে আসছে। সে সিঁড়িঘরের পিঠদরজা ধরে পালান দিতে চায়।
সুখদেবের পিছনে জোটন ছিল। বলল, কোথায় যাও হে বন্ধু! ব্যক্তি বলে, আমি কিছু
জানি না, কিছু জানি না। মালব্য বলে পানু, তোমার ভালু(ক)বাসায় চলো। ঘাড়ে প্রেমহাত
দিয়ে নিয়ে যায়। সেই ঘর। প্রচ্ছদহীন ফটোফিনিশে বসে আছে যথা একামালিয়া, সাকিনামলি
এবং অন্তসারিমা। চেয়ারে জোটন ধোঁয়া ছাড়ে আর মালা গড়ে। সাদা পায়রার গাটি ধোঁয়া-মালার
মত পড়িয়ে দেয় এখন-বলির-পাঁঠা ব্যক্তির গলায়।
তিনটে জনকপুরী দাঁতাল-চাকু এগিয়ে আসছে। না, না, নআআআআ... আতঙ্কে নিরক্ত হল বলির পাঁঠার মুখমন্ডল। যে বৃষ্টিতে একা ধুয়ে যায় তার নাম বটে রক্ত!
বয়ে যায় সুর হয়ে।
তরলগড়িয়েঘন।
ঘুম ভাঙে আ্যলার্মে। এই শুনছ, আটটা
বাজে। ওঠও ওঠও, উঠে পড়ও! কি সব আবোলতাবোল বকছ! দিমিত্রা বলে, কারা এসেছে দেখ। কারা,
কারা, চেঁচিয়ে উঠলো ব্যক্তি।
সেও যেন তখন এক তরলগড়িয়েঘন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন