কবিতার কালিমাটি ১৩৩ |
অস্পৃশ্য মনুষ্য
রাত্রে তুমি লক্ষ্য রেখো
অনিবার্য দুঃখ নিয়ে
মৃত্যুকঠোর কেউটে আসে কিনা
শিরায় কি আজ মুক্ত বিষের ছোবল ছড়াছড়ি?
পাথররূপী তোমার দেহ
নগ্ন হয়ে পড়ে থাকে অতিদীর্ঘদেহী
স্পৃষ্ট তোমার শরীর হলো
বিষতড়িতে অকাল ধূর্ত বোধে
হিমবর্ণা মুখ যে তোমার
স্তব্ধ হলো মৃত্যুঘাতীপ্রেমে
দূরদূরান্তে আমরা সবাই খেলছি যেমন খেলি
কারো জন্য ভাবনা হয় না
চিন্তা, মনে সাতসাগরের জমছে কেবল ধুলি।
ভিক্ষাবৃত্তি
নিঃস্ব হয়ে পড়ে আছে
পরিত্যক্ত ভিক্ষুণীর ক্ষুদ্র ঝোলাঝুলি
জলপ্রবাহে হারিয়ে গেছে
লক্ষ মাইলের হাঁটাচলা
অষ্টবক্র লাঠি
কবেকার লজ্জা গেছে
বংশবৃদ্ধি, ক্ষুদ্র পরিচয়
খলখেলনায় রাত্রি গেছে
দিবসগুলো খিদের অপচয়
প্রেতপুরুষের আহার হলাম
কেউ কি রেখেছে মনে?
রাজ্যপথে দুঃখ আছে
ক্লান্তিগুলো অশ্রুপূর্ণঘামে।
জীর্ণকালে বিপন্নতা
তোমাদের জানা আছে?
আমি কি বিপন্ন এক
শ্বাপদের কাছে?
যারা আসে, ঘিরে ধীরে
ক্রমশ অদৃশ্য হয়ে
একদম অস্ত্রসস্ত্র সহ
দারুন পীড়াই হলো
বিবমিষা ঘন ঘন
অতিভোরে রক্তপাত হয়
অতিভয়ে জীর্ণ হই
শ্বাস বোধ আজ আর নেই
যাহাদের ইষ্ট ভাবি
তারা আজ নপুংসক হয়ে
প্রবল দাঁতাল হয়ে
ঐ দেখো অপেক্ষমাণ
আমার সমস্ত খাবে
জীবজড় তফাৎ সহ
আমি কি পালাব তবে
নাকি কোনো গুহার গহ্বরে
হেরে যাব শোক সহ
কোটি কোটি বছরের
অন্ধকার হয়ে?
kubh bhalo laaglo
উত্তরমুছুন