মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩

লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল

 

কবিতার কালিমাটি ১৩৩


দীর্ঘশ্বাসের খাণ্ডব

 

এবার এক নাবাল কলঙ্কের সাথে দেখা, হঠাৎই পা পিছলে যাওয়া থেকে আটকে দিল পায়েরই নখ, বড্ড নরম এই সীমানার দীনতায় অনাবিল মিলনের ডাক, আদুল শরীরে বেড়ে ওঠে দীর্ঘশ্বাসের খাণ্ডব – জ্বরা আর পিপাসিত অরূপে উড়তে থাকে দখিন হাওয়া; ওরা কি সময়ের কোনো ডানা দেখতে পায়?

 

এ ধাত্রীকাল আমার, আমি ঈশ্বর হয়ে প্রতিধ্বনি পাঠিয়ে দিই শূন্যে, সাথে সাথে জঙ্ঘার উপর কাপড় তুলে দিব্যি কথা কয় আহ্নিক সময়, আর ঝরঝর ঝরে পড়ে পচা ভাদ্রের কেলি কদম

 

কোথাও সেই রক্তজল আর ঘামের উঠোনে বসে ভাত খাচ্ছিল শ্যওলা রঙের প্রাক দুপুর

 

সব অপকর্ষ নিয়ে

 

বেলপাতাগাছের নিচেই ফিঙে পাখিটির লেজ ছুঁয়েছে  মাটিতে, সে তো বিশ্রাম চায়নি এই মৎস মিথের কম্পিত জলতলের শরৎবেলায়, আর বাকি সময় আকাশ উড়িয়ে নিচ্ছে মুনি পাড়ার অলাত প্রসব, দূরত্বে যারা ছিল তারা সব কৌতূহলী, তারা সব অপকর্ষ নিয়ে এখনও সাঁতার শিখছে – অনতিদূরে ঘন ঝোপে অসাড় যাবৎ জীবন

 

পাটাতন ভেঙে গেছে অশোক গাছের তলায় – মালিটির দুঃস্থ নিয়ে বসে আছি আমি আর সে – ক্ষতমুখ ছুঁয়েছে সবুজ ধানখেত

 

এই দীর্ঘায়ু অপমেরুর কাছেই বিষাক্ত সাপেরা বীজ পুঁতে রাখে

 

আত্ম প্রশ্বাসের লংমার্চ

 

একদিন আত্ম প্রশ্বাসের লংমার্চগুলো বিস্তীর্ণ হতে হতে হারিয়ে ফেলে শীতভাব, যদিও হাওয়া আসে মাঝে মাঝে – তার কোনো দিক নেই, শিকড়ের কাছে ছিপ ফেলে বসে আছে সুজোধন, দূরত্বের গাছপালাগুলি অবাকবিন্দু যোগ করতে করতে নিজের নাম হারিয়ে ফেলে, রেখাটি ইচ্ছেমতো মেঘ ও এবড়ো খেবড়ো ধাক্কার বিপন্ন পদাবলি

 

বৃশ্চিকচিহ্নের এই আয়নায় প্রতিবিম্বটি কার

 

বিশল্যকরণী গুল্মের মাঝখানে জেগে থাকে এ পরম প্রানিপাত; ভাত ও মদের গন্ধ নিয়ে  ক্রমশ সরু রাস্তাটি মিশে যায় বিষমকাম উঠোনে

আমার ছায়া ভেঙে দেয় উত্তপ্ত বাস্পের প্রতিসরণ

 

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন