কবিতার কালিমাটি ১৩২ |
জল
গুটিসুটি মারা রৌদ্র লুকানো মফস্বলে
অযত্নে পালিত নিরুচ্চারিত জলের শরীর
ছাই গলানো ভঙ্গিমায়
চাঁদের আয়নায় বাঁধে শেকল
আমি শুধু ডুবি
ছুঁড়ে দিই চোখ, চুলের রুক্ষতা
আর রাতের হিচকি গুণে গুণে
লিখে যাই জলের শতনাম।
রূপ
পৃথিবীর সব আলো একত্র হলে
ঘাস গুঁজে রাখে অশ্রু
ঝাঁকড়া মাথা রোদের জ্যামিতিক দূরত্বে নামে
কপাল থেকে খুলে রাখা টিপের নম্র প্রসাদ
ঘুমন্ত বৃক্ষলতারা স্বপ্নে আঁকে নক্সিকাঁথা
পড়শি নয়নতারার বুকে
পাখির ভেজা ডানার সনেট রীতি নিয়ে
ঘুমিয়ে থাকে শিশু ঈশ্বর
আর টায়রা পরা লণ্ঠন অন্ধকারের স্তোত্র আওড়ে
পাহাড়া দেয় কিছু একটা তাড়া খাওয়া প্রেতের মুখ।
একটি দুর্ঘটনা
দূরের রৌদ্র পাড়ায় দেনা বাকি
সারাদিন বৃষ্টি ভিজে ফুটপাতে কেনা একমাত্র শার্ট-প্যান্ট
তবু্ও রিক্সার ঘোমটায় জেগে থাকে
নাতিশীতোষ্ণ আশা
রাস্তা এগোয়
হঠাৎ জোর ধাক্কায় মেলা থেকে কেনা
সিঁদুর আর লাল চুড়ি ভেসে যায় নর্দমায়
শুধু শ্মশানের ভেজা কাঠ
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে ধোঁয়ার স্বান্তনা দেয়
ফুটো চালার দুটো পরজীবীকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন