কবিতার কালিমাটি ১৩১ |
অন্ধবর্ণ কারুকাজ
পৃথিবীকে মুগ্ধ করে রাখে
এত বড় মোহনকারিকা
ঈশ্বরীয় হাত ধরে তুমি
বসন্ত প্রভাতে
ঘিরে রাখো অনিবার্য
মৃত্যু উপকথা
কার সাথে লাস্যরত তুমি
কার সাথে অকাল বিহার
স্বপ্নে কার এত আঁকিবুঁকি
কেন এত অচেনা বিকার
কার হাতে ভবিতব্য
বন্ধ্যা হলো আজ
অমল শিশিরে কেন
রক্ত কারুকাজ
কার দেহে কটু গন্ধ
রাত্রে বলো কার আনাগোনা
বিষকে ছুঁয়েছ তুমি
শবপূর্ণ গৃহশামিয়ানা।
মৃত স্মৃতি
বিগত প্রাণেরা আর
খবর নেয়নি কোনো
খোঁজেনি আমার সমাধি
তারা আজ নপুংসক
নিরন্তর রক্ত প্রতিনিধি
প্রতিটি জন্মের সাথে
লোভাতুর দৃষ্টি থাকে
এরা সব মৃত্যু বিষাদের
আমি খুব দূরে হেঁটে যাই
তাকাই না অন্ধকারে
সূর্য আর উঠবে না জানি
তারপর খুব বেশি বৃষ্টি হলে দেখি
ভিজে গেছে নিঃশব্দতা
জীবনের ধ্বনিগুলো
গলিত দেহের ভস্মখানি।
প্রেতসঙ্গ
কি কালে তাহারা আসে
বসে থাকে বিষাদের বিকৃত দাওয়ায়
তারপর স্বপ্ন দেখে
মজে আছে কুসঙ্গে কোথাও
কখনো হননপ্রিয়
লজ্জাতুর দৃষ্টিগুলো ম্লান হয়ে আসে
এখনো সূর্য উঠে, সেই চাঁদ
গাছপালা হাসাহাসি করে
একই নিয়মে
অধিক সাধন আমার
সমস্ত দিনের সাথে মিশে
আরও একাকী করে
চেতনা লুপ্ত হয় সমাধিভঙ্গে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন