কবিতার কালিমাটি ১৩১ |
চাঁদের ক্ষত
শ্রাবণী পূর্ণিমা বারবার ফিরে আসে
ব্যালকনিতে জ্যোছনা নামে, কখনো বৃষ্টি,
তবুও বয়ে যায় হৃদয়জ আগুনের নদী।
ঘুম নেই চোখে আজ!
নীলাভ ঘরের খোলা জানালার পর্দারা
কেঁপে ওঠে... পেন্ডুলাম দুলে দুলে
প্রহর জানান দেয়... কেটে যাবে
পূর্ণশশীর রাত... তবুও ঘুম আসে না আজ।
চোখের শূন্যতায় কথা বলে
আমার টুকরো আকাশ...
জানালা গলিয়ে কাছে আসে চাঁদ
ভালো করে দেখি... এ-কী!
কত গভীর ক্ষত যে
বুকে ধরা আছে তার!
প্রহর
সেই কবে এসেছিলে... বৃষ্টি হয়ে--
কোনো এক তৃষ্ণার্ত প্রাণে,
ক্যানভাসে আঁকা ছিল ছবি-
রঙে গেল চারিদিকে ছেয়ে।
আলোর নদী পারাপার
বকুলগন্ধ ভাসে...
কোণারকের পথে পথে
প্রেমের সুবাস আসে।
লজ্জাবতী লতারা শুয়ে থাকে পথে
চন্দ্রভাগা প্রতীক্ষার প্রহর গোনে!
শাম্বর পদধ্বনি থেমে আছে সেই
প্রাগৈতিহাসিক সন্ধিক্ষণে!
বেসামাল
শ্রাবণ ধারা আজ অতিথি আমার
শোনায় কত জন্মের নিরুচ্চার
নিরাকৃত সময়!
থেকে থেকে জেগে ওঠে
আজন্ম লালিত নিরক্ষবলয়ে
বোনা কিছু পল।
ওরা ফিরে আসুক
কিছু গল্প করি, কিছু অভিমান জানাই
অসহায় দুটো হাতে চেপে ধরি ইচ্ছে - ফানুস!
ভাঙা ভাঙা জল গানে ভাসিয়ে রাখি কিছু,
ভাঙা হাটে গড়াগড়ি কিছু
অ শব্দের পংক্তিরা বেসামাল!
বদলানো প্রচ্ছদপট
বদলে গেছে প্রচ্ছদপট...
বদলে গেছে বছর, দিন।
মুহূর্তগুলো পিংপং বলের মতো
আউট আর ইন হচ্ছে।
অচেনা আমি আল্ট্রাভায়োলেট রে মেখে
বসে আছি!
সেই সৈকত,
সেই নোনাজল
শুভ্র ফেনায় উচ্ছ্বসিত
ও প্রান্ত ছুঁয়ে এ প্রান্তে এসেছি,
সেদিন সূর্যোদয় মেখে সোনালি ছিলো পৃথিবী
আজ সূর্যাস্ত ছেয়ে আছে
বদলানো প্রচ্ছদপটে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন